হোম জাতীয় নাচ-গানে নওগাঁয় নবান্ন উৎসব উদযাপন

জাতীয় ডেস্ক :

আজ পয়লা অগ্রহায়ণ। নতুন ফসল ঘরে তোলার মাস। নবান্ন উৎসব নানা আয়োজন ঘটা করে উদযাপন করা হয় নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকায়। দিনভর নাচ, গান আর কবিতায় তুলে ধরা হয় আবহমান গ্রাম-বাংলার নতুন ফসল ঘরে তোলার সংস্কৃতি।

লোক সুরে স্নিগ্ধ ভোরে নবান্নের নিমন্ত্রণ, ধানের ঘ্রাণে ভরা যে অগ্রহায়ণ তার শুরুর দিনে কৃষকের ঘরে উৎসবের প্রতীকী রূপ নওগাঁ শহরের সমবায় চত্বরে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকালে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ এর আয়োজন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যপক শরীফুল ইসলাম খান, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন প্রমুখ।

এসময় হেমন্তের ভোর রাঙিয়ে নাচে আর গানে বাংলার শস্য উৎসবকে বরণ করে নেন শিল্পীরা। ধ্রপদি পরিবেশনায় উঠে আসে ক্ষেত কৃষক আর তার কষ্টের ফসলের সেই সুষম সৌন্দর্য।

সকালে যারা সারথী হয়েছেন দর্শক হিসেবে, তারা বলছেন নতুন প্রজন্ম কাছে এমন উৎসব তুলে ধরা জরুরি । অপসংস্কৃতির বেড়াজাল থেকে বের হয়ে লোকজ ঐতিহ্যর নতুন ধান ঘরে তোলার এই আয়োজন বেশি দরকার বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।

সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যপক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, নবান্ন উৎসবের সঙ্গে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি মিশে আছে। নতুন প্রজন্মকে এ সম্পর্কে জানাতেই উৎসবের আয়োজন। সরকারিভাবে দেশি এ উৎসব পালন করা দরকার।

জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি জাতি-ধর্ম-বর্ণকে উপেক্ষা করে নবান্নকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতে ওঠে। আমরাও প্রতিবছর পহেলা অগ্রহায়ণে এই নবান্ন উৎসবের আয়োজন করে থাকি। আগামীতেও এই আয়োজন করা হবে।’

নবান্ন এ উৎসবে নানা আয়োজনে উঠে আসে কৃষক কৃষাণীর বৈচিত্রময় কর্মকাণ্ড। বসে বাহারি পিঠা-পুলির দোকান। আর এ উৎসবের দিনে বরেন্দ্র এলাকায় চলে অতিথি আনা নেয়ার পালা পার্বন।

নতুন ধান ঘরে তোলার এমন উৎসবের মাধ্যমে চাষিদের প্রেরণা দিতে সরকার কাজ করছে বলে জানান নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিক মেহেদী হাসান।

জাতীয় রবীন্দ্র সম্মিলন পরিষদের আয়োজনে নবান্ন এ উৎসবে স্থানীয় শিল্পীরা নাচ গানসহ দেশীয় লোকজ সংস্কৃতি তুলে ধরে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন