আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলের সোকোতো রাজ্যে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাজ্য গভর্নরের কার্যালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
সোকোতের গভর্নর আমিনু ওয়াজিরি বলেন, রোববার গরোনোয়োতে একটি সাপ্তাহিক হাটে প্রথম হামলা হয়েছে। পরদিন সকাল পর্যন্ত সেই হামলা অব্যাহত ছিল।
নাইজিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বহু বছর ধরে মুক্তিপণের দাবিতে বহুলোককে হত্যা ও অপহরণ করা হচ্ছে। অঞ্চলটিতে ব্যাপক নিরাপত্তা সংকটের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার।
সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে পুরো জামফারা রাজ্যে সব ধরনের টেলিফোন ও ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দেয় সরকার।
এরপর কাটসিনা, সোকোতো ও কাদুনা রাজ্যে সামরিক অভিযান জোরদার হলে রাজ্যগুলোর কয়েকটি অংশেও একই নির্দেশনা জারি করে সরকার।
গত সপ্তাহে নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেছিলেন, টেলিযোগাযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটি দস্যুদের দমনে রত সশস্ত্র বাহিনীর সহায়ক হওয়ায় এটি বজায় রাখা হবে। কিন্তু এর কারণে ওই অঞ্চলে কী ঘটছে তা জানা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং দৈনন্দিন জীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ইলিয়াসু আব্বা বলেন, গোরোনোয়োর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ৬০টি মরদেহ পড়ে রয়েছে। এছাড়াও বন্দুকধারীদের হামলায় বহু লোক আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, বন্দুকধারীরা যখন বাজারে প্রবেশ করেন, তখন সেখানে লোকে লোকারণ্য ছিল। ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও দোকানিরা সাপ্তাহিক বেচাকেনায় জড়ো হয়েছিলেন।
ইলিয়াসু আব্বা জানান, সরগরম বাজার চারদিক ঘিরে ধরে লোকজনকে লক্ষ্য করে নির্বিচার গুলি শুরু করে তারা। হাটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। হামলাকারীরা সংখ্যায় অনেক বেশি হওয়ায় তারা আর পেরে ওঠেনি।
এ নিয়ে নাইজেরিয়া পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।