হোম আন্তর্জাতিক নথি ফাঁস: দুবাইয়ে ধনীদের সম্পদের পাহাড়, শীর্ষে কোন দেশ?

নথি ফাঁস: দুবাইয়ে ধনীদের সম্পদের পাহাড়, শীর্ষে কোন দেশ?

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 76 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোপনে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও অপরাধীরা। আকাশচুম্বী অট্টালিকার এ শহরে রয়েছে তাদের একেকজনের লাখ লাখ ডলার মূল্যের সম্পদের মালিকানা।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ‘দুবাই আনলকড’ নাম দেয়া এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোরের যৌথ সমন্বয়ে এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে দুবাইয়ে গোপনে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও অপরাধীদের নাম।

তালিকায় শীর্ষে আছে ভারত। দেশটির শীর্ষ ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি থেকে শুরু করে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের সম্পদ রয়েছে শহরটিতে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তান।

ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী দুবাইয়ে ২২ হাজার পাকিস্তানি গোপন সম্পদের মালিক। এদের মধ্যে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও তার পরিবারের সদস্যরাও। আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সেনাপ্রধানের নামও।

প্রতিবেদন অনুযায়ী দুবাইয়ে পাকিস্তানিরা সব মিলে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। এ ছাড়া তালিকায় চীন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকদের নাম যেমন রয়েছে, তেমনি আছে আফগানিস্তান, ইয়েমেনের মতো দেশের নাগরিকরাও। আরও রয়েছে নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা মিয়ানমারের অস্ত্র ব্যবসায়ীর নামও।

এই প্রতিবেদনটির নাম দেয়া হয়েছে দুবাই আনলকড। প্রকল্পে অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। দুবাইয়ের ভূমি দফতরসহ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। যেখানে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল নাগাদ বিভিন্ন ব্যক্তির মালিকানায় থাকা ও ব্যবহার করা সম্পদের বিস্তারিত চিত্র উঠে এসেছে।

ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ বা সিফোরএডিএস। পরে নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর এবং ওসিসিআরপির সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি করে প্রতিষ্ঠানটি। এ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অংশ নেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসও। কয়েক মাস ধরে এই অনুসন্ধান চালানোর পর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন