জাতীয় ডেস্ক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ৩৬ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমোদন দিয়ে ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নাম নেই। তিনি ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা না পেয়ে তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার অভিভাবক। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা তার মঙ্গলের জন্য নেবেন বলে বিশ্বাস করেন সাইফুজ্জামান।
প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেই সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা। প্রধানমন্ত্রী আমাকে একবার ভূমি প্রতিমন্ত্রী করেছেন, এরপর পূর্ণ মন্ত্রী করেছেন। এতে আমার আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী আমার অভিভাবক, তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন আমার মঙ্গলের জন্য নেবেন।
তিনি আরও বলেন, আগে মন্ত্রী ছিলাম, এলাকার মানুষকে সপ্তাহে দুই দিন সময় দিতাম। এখন প্রতি বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার এলাকার মানুষের সঙ্গে সময় কাটাব। রাজনীতি করি মানুষের ভালোবাসার জন্য। আমি বঙ্গবন্ধু ও আমার মরহুম বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে রাজনীতিতে এসেছি। বাবা শিখিয়ে গেছেন কীভাবে মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে হয়, আমার কাছে মন্ত্রী এমপির চেয়ে আমার এলাকার মানুষ বড়। আমার জীবন আমি এলাকার মানুষের জন্য উৎসর্গ করলাম।
এদিকে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মন্ত্রী তালিকা থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় এলাকায় আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে বারশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ বলেন, বিগত পাঁচ বছরে ভূমিমন্ত্রীর সহযোগিতায় গ্রামীণ সড়ক ও পারকি সৈকতের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। একজন মন্ত্রী হিসেবে নন, তিনি আনোয়ারা কর্ণফুলীকে নিজের বাড়ি মনে করতেন। তার এই কাজে তিনি মানুষের মধ্যে আজীবন বেঁচে থাকবেন।
আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তিনি মন্ত্রী হওয়ার পরও প্রতি সপ্তাহে দুই দিন এলাকায় সময় দিতেন। দলবল নির্বিশেষে মানুষের পাশে থাকতেন। গ্রামের যে কোনো মানুষ তার সঙ্গে সরাসরি ও মুঠোফোনে কথা বলতে পারতেন। নতুন মন্ত্রী পরিষদের তালিকায় তার নাম না দেখে আমরা হতাশ।