অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের মাঠের পারফরম্যান্স হতশ্রী। লিটন দাস-তাওহীদ হৃদয়রা খারাপ করলেই আলোচনায় উঠে আসে সাকিব আল হাসানের নাম। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর অনেক ভক্তের মুখেই শোনা গেছে ‘ইশ, সাকিব যদি থাকতো’ ! এদিকে সাকিবকে জাতীয় দলে ফেরানো নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা নতুন করে বক্তব্য দিয়েছেন। যদিও সেই বক্তব্যে ইতিবাচক কিছুই নেই।
বেসরকারি টেলিভিশন যমুনাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সাকিব। তার খেলা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই; কিন্তু বাকি বিষয়গুলো যেমন মামলা, আর্থিক কেলেঙ্কারির মতো বিষয়গুলো তাকেই ডিল করতে হবে।’
বিসিবির ১৭তম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমিনুল ইসলাম বুলবুল গণমাধ্যমকে সাকিবের ফেরা নিয়ে বলেছিলেন, ‘সাকিব বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। আমরা আশা করবো, সাকিব যেন ফিট থাকে এবং ভালো ক্রিকেট খেলে। উপদেষ্টার সিদ্ধান্তের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। উপদেষ্টা তো নির্বাচক নন। আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের যারা নির্বাচক আছেন, তারা এই বিষয়টা দেখবেন। আমাদের খেলোয়াড় নির্বাচনের একটা প্রক্রিয়া আছে এবং আমরা সেটাকে শ্রদ্ধা জানাবো।’
বুলবুলের আগের বক্তব্য ও ক্রীড়া উপদেষ্টার বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে সাকিবকে নিয়ে ধোঁয়াশা কাটবার নয়। কেননা সাকিবের সামনে যেসব মামলা আছে, সেগুলোর সুরাহা না করে তিনি জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন না। ফলে অদূর ভবিষ্যতে তার খেলার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
এদিকে, ক্রীড়া উপদেষ্টা দাবি করেছেন বিসিবির পরিচালকরা তার সঙ্গে ক্রিকেটের বাইরের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতেন, ‘এটা দুঃখজনক যে, বিসিবি কর্তাদের সঙ্গে যখনই কথা হতো, তারা ক্রিকেটের বাইরের আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলতেন। আমি তাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছিলাম, আমার সঙ্গে যেন ব্যবসা কিংবা তদবির নিয়ে কথা না বলেন।’
এছাড়া, সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট বার্তা ছিল বিসিবির সভাপতির পাশে কারা বসবনে, কারা থাকবেন। এই কারণে সভাপতি হিসেবে তিনিও তেমন কিছু করতে পারেননি বলে দাবি করেছেন ফারুক। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, ‘ফারুক আহমদের প্রতি নির্দেশনা ছিল, সরাসরি আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কোনও বোর্ড কর্তার সঙ্গে যেন অত বেশি ক্লোজ না হন।’