নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলে নানা আয়োজনে পালিত হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী । বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে নড়াইল সদর উপজেলা ও নগর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি ও সমাবেশে অনুীষ্ঠত হয়।
শহরের চৌরাস্তা দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান আলেক এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মনিরুল ইসলাম,জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হাসান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ জাপল, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুর রহমান পলাশ, নগর বিএনপির সভাপতি তেলায়েত হোসেন বাবু ও জেলা যুবদলের সভাপতি মশিয়ার রহমান,জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সায়দাত কবীর রুবেল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান সনি প্রমুখ।
এছাড়াউপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো. জুলফিকার আলী মণ্ডল,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক খন্দকার মুঞ্জরুল সাঈদ বাবু,মহিলা দলের মধুমিতা ও মাজেদা খানম টুকটুকি প্রমুখ।স মাবেশের সঞ্চালনা করেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফশিয়ার রহমান।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মনিরুল ইসলাম বলেন “ফেব্রুয়ারীর ১২ তারিখের পরে নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়া হবে।”তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ভূখণ্ড, পতাকা ও সংবিধান ১৯৭১ সালে হয়েছে। কিন্তু জামায়াত তখনও স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে। তারা বারবার ইতিহাসের বিরোধিতা করেছে।আজকে আবার পিআর পিআর করছে। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখের পরে যদি নির্বাচন নিয়ে কোনো টালবাহানা হয়, তবে দেশব্যাপী কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”সমাবেশে তিনি আরো বলেন, “১৯৮৬ সালে ক্ষমতার জন্য তারা শেখ হাসিনার সাথে আঁতাত করেছিল। ৯৬ সালে অসহযোগ আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতা করে মাত্র তিনটি আসন পেয়েছিল। আর আজ যদি আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হয়, তবে বাংলার জমিনে তাদের একটি আসনও থাকবে না।”
সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এর আগে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। নড়াইল জেলা, উপজেলা ও নগর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী সমাবেশে অংশ নেন।