নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলে জেলা পর্যায়ে ‘গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং করণীয়’ শীর্ষক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ নভেম্বর রোববার সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। UN DP এর সহযোগিতায়, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প এর আওতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান। সভায় সভাপতিত্ব করেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়না, তিনি গত ছয় মাসের কার্যক্রমের একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা তুলে ধরেন এবং করণীয় নির্ধারণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
এ সময় উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিংকন বিশ্বাস,স্থানীয় সরকার ,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় নড়াইলের জেলা ম্যানেজার জেনারুল ইসলাম জিন্নাহ, সদরের উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ ওমর ফারুক লোহাগড়ার উপজেলা সমন্বয়কারী রেজমিন সুলতানাসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার প্রতিনিধি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এই সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প’ এর অধীনে নড়াইল জেলার ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে গ্রাম আদালতগুলোর কার্যকারিতা, মামলা নিষ্পত্তি হার, আর্থিক লেনদেন এবং বিশেষ করে নারী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর বিচার প্রাপ্তির সুযোগ বৃদ্ধি সংক্রান্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা করা। সভায় প্রকল্পের আওতায় নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা, আদায়কৃত অর্থ নিয়ে আলোচনা হয়।
ভবিষ্যতে গ্রাম আদালতকে আরও গতিশীল ও জনবান্ধব করতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, আইনি সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মনিটরিং ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। ইউএনডিপি সমর্থিত এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় দ্রুত, সহজ ও স্বল্প খরচে বিচারিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সকলে একমত পোষণ করেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, গ্রাম আদালত হলো জনগণের আস্থা অর্জনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যার কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে হবে। এই সমন্বয় সভার সিদ্ধান্তসমূহ নড়াইল জেলায় গ্রাম আদালত কার্যক্রমকে আরও ফলপ্রসূ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।তিনি গ্রাম আদালতের কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধি এবং এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নড়াইলে গ্রাম আদালতে গত ৬ মাসে ৬’শ ৪৩ মামলার সমাধান-ক্ষতিপূরন আদায় দেড় কোটি টাকা।
