হোম খুলনানড়াইল নড়াইলের ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত, সহকারী শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ

নড়াইলের ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত, সহকারী শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 35 ভিউজ

নড়াইল প্রতিনিধি:

নড়াইল সদর উপজেলার আরবিএফএম ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সময়মব সৃষ্টিকরে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এস এম জিয়াউল হককে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয়। ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও ভয় আতঙ্কে জিয়াউল হক বিদ্যালয়ে আসতে পারছেন না। বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম।

অভিযোগে জানা যায়, গত সেপ্টেম্বর শিক্ষার মানোন্নয়নে সাধারণ সভা চলাকালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শরীফ তছিকুল ইসলাম পূর্বপরিকল্পিত ভাবে মূল আলোচ্য বিষয় বাদ দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন। একপর্যায়ে সভাপতি বহিরাগত লোকজন নিয়েমব সৃষ্টিকরে প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করেন। সময় ভয় আতঙ্কে বেশির ভাগ অভিভাবক সভাস্থল ত্যাগ করেন। বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। 

এদিকে, বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক আজিজুর রহমানের অবৈধ এমপিওভুক্তির বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এস এম জিয়াউল হক মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, উপপরিচালক এবং খুলনাঞ্চলের উপপরিচালক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য গত সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় জিয়াউল হককে চাপ দেয়া হয়। আজিজুরের বিরুদ্ধে অভিযোগটি প্রত্যাহারে অনীহা প্রকাশ করেন জিয়াউল হক। সময়মব সৃষ্টিকরে জিয়াউল হককে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সভাপতি শরীফ তছিকুল ইসলামসহ শিক্ষক আজিজুর রহমান বহিরাগতদের জড়ো করে শিক্ষকদের প্রতি এমন নিষ্ঠুর আচরণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অপরদিকে, আজিজুর রহমানের অবৈধ এমপিওভুক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে গত ২৯ জুলাই জেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন খুলনায় প্রেরণ করেন। এছাড়া শিক্ষক আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হলে গত সেপ্টেম্বর বিষয়টি তদন্ত হয়েছে। একই বিষয়ে সোমবার (১৫ সেপ্টেস্বর) জেলা শিক্ষা অফিসারের কক্ষে আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আরেকটি তদন্ত হয়েছে।

ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মহীউদ্দিন জানান, শিক্ষক আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শরীফ তছিকুল ইসলাম বলেন ,আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বনোয়াট এই ঘটনার সাথে আমি কোন প্রকার  জড়িত নই।  ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষক আজিজুর রহমানকে পুনর্বহালের কথা বলা হলে হট্টগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে  শিক্ষক জিয়াউল হক উপস্থিত সভাগনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে আসলে  বিদ্যালয়ের বারান্দায় অবস্থানরত লোকজন শিক্ষক জিয়াউল হককে মারধর করেন। তাৎক্ষনিক আমি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করি। ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই  

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন