মোস্তফা কামাল, নড়াইল:
নড়াইলের কালিয়ায় স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র কাঞ্চনপুর গ্রামে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে।
৪ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে কাঞ্চনপুর গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে বলে জানান কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শামীম উদ্দিন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবরা হাচলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুল ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যূগ্ন সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আফতাব গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় কোন্দল চলে আসছিল।
এরই জের ধরে গত রোববার (১সেপ্টেম্বর) বিকালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আতাউর রহমান আফতাব কে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজন। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আফতাবের উপর রবিবারের ঐ হামলার জের আজ সকালে উভয় গ্রুপের মধ্য সংঘর্ষ হয়।
এতে আফতাব গ্রুপের ফরিদ মোল্লা, জাহেদা বেগম, মাজেদুল ইসলাম, সাদ্দাম মোল্লা,রুকু মুন্সী, হেমায়েত কাজী, বাপ্পী মোল্লা, হাফিজ মোল্লাসহ অন্তত ২৬জন আহত হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
অপরদিকে, আফতাব গ্রুপের হামলায় পিকুল চেয়ারম্যান গ্রুপের জুয়েল শেখ,মিরাজ মোল্লা, শামীম মোল্লা, কামাল কাজী, রিপন মোল্লা, মান্নান শেখ, আসাদুল শেখসহ ১৩ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
এদের মধ্যে জুয়েল শেখ কালিয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং বাকি সকলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে জানান, কালিয়া হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোঃ হাসিবুর রহমান।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, আফতাব গ্রুপ ও বিপুল চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝামেলা চলে আসছিল। প্রায় তাদের মধ্য সংঘর্ষ লেগে থাকে। এ বিষয়ে কালিয়া থানায় ইতিপূর্বে মামলা ও দায়ের করা হয়েছে। আজ সকালে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়লে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।