জাতীয় ডেস্ক:
নগরবাসী ভোট না দিলে পরাজয় মেনে নেয়ার কথা জানিয়েছেন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক।
সোমবার (১২ জুন) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে নগরীর ২২নং ওয়ার্ডের সাউথ সেন্ট্রাল রোডে পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। এ সময় তার স্ত্রী পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারও ভোট দেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, নগরবাসী ভোট না দিলে তার কোনো আপত্তি নেই। যিনি জিতবেন তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
তিনি আরও বলেন, সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিচ্ছেন। জনগণ যে রায় দেবে আমি সেটাই মেনে নেব।
ভোটার উপস্থিতি কম কেন – এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও তো অনেক সময় আছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট দেয়ার সময়। রান্না ও অন্যান্য কাজ শেষ করে অনেকে ভোট দিতে আসবেন।
এদিকে, ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল আউয়াল সকাল ১০টায় নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডের বানিয়াখামার এলাকার দারুল কোরআন বহুমুখী মাদরাসা কেন্দ্রে, জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে, সকাল ৯টায় মতিয়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, আর স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক সকাল ১০টায় আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেন ।
কেসিসি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেয়া তথ্যানুযায়ী, এবার মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন। এরা হলেন: আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (দেওয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল)।
এ নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের সিটি নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা। এর মধ্যে নারী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।