লাইফস্টাইল :
ধূমপানের কুফল সম্পর্কে সবারই জানা আছ। এমন অনেকে আছেন মন থেকে যারা ধূমপান ছাড়তে চায়। তবু পেরে ওঠে না।
অফিসে কোনও রকম সমস্যা হলে নিচে গিয়ে একটা সিগারেটে টান না দিলে নাকি উদ্বেগ কমে না। কর্মক্ষেত্রে চাপ, মানসিক চাপ, উদ্বেগ সব কিছু নিয়েই মানুষের জীবন। মানসিক চাপ কমাতে পারলে ধূমপানের আসক্তিও কমবে। মানসিক চাপ কমতে পারে যোগাসন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৮৫ শতাংশ ধূমপায়ীরা যোগাসন ও ধ্যানের সাহায্যে ধূমপানের নেশা ছাড়তে পারেন।
নিয়মিত যে যোগাসন ও ধ্যান নিত্য জীবনের উদ্বেগ কমাতে পারে তা জেনে নিন।
উস্ট্রাসন:
এ আসন শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ফলে মস্তিস্ক বেশি অক্সিজেন পায়। মন অনেক শান্ত থাকে। মাটিতে হাটুর উপর ভর করে বসুন। শরীর পিছনের দিকে হেলিয়ে দিয়ে দুহাতে দুই পায়ের গোড়ালি ধরুন। আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
সেতু বন্ধাসন:
এই আসনও শরীরের রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। মেরুদণ্ডের জন্যও এ আসনটি খুব উপকারি। মাটিতে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাজ করে সামনের দিকে নিয়ে আসুন। শরীরটা হাওয়ায় তুলে দুহাত দিয়ে দুই পায়ের গোড়ালি ধরুন। কয়েক সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকুন।
ভদ্রাসন:
যোগব্যায়ামের অন্যতম সহজ ও সাধারণ আসন ভদ্রাসন। পায়ের মাংসপেশি গুলো স্ট্রেচ করার জন্য দারুণ ব্যায়াম এটি। নিয়মিত করলে মনও অনেক শান্ত হবে। মাটিতে বসে দুপায়ের পাতা এক সঙ্গে জুড়ে নিন। হাতের পাতা দুটি পায়ের পাতার উপর রাখুন।
বালাসন:
বলা হয়ে থাকে যোগাব্যায়ামের সবচেয়ে রিল্যাক্সিং (আরামদায়ক) আসন এটি। ইংরেজিতে একে ‘চাইল্ড পোজ’ বলা হয়ে থাকে। মন শান্ত করার জন্য এই আসন খুবই কার্যকর। হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এবার শরীরটা এমন ভাবে বাঁকা করুন যাতে বুক গিয়ে উরুতে ঠেকে। মাথা মেঝেতে রাখুন। আর হাত দুটি সামনের দিকে প্রসারিত করে রাখুন। এ আসন স্নায়ুতন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। সেই সঙ্গে ঘাড় ও পিঠের ব্যথা কমাতেও এর জুড়ি নেই।
প্রাণায়াম:
শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মনের দুশ্চিন্তা অনেকটা কমানো সম্ভব। ১০-১৫ মিনিট চুপ করে ধ্যান করলেও উপকার পাবেন। এই সময়ে কপালভাতি (যোগাসন), ভ্রমরির মতো ব্যায়ামও করতে পারেন।
তাই বিশেষজ্ঞরা ধূমপান ত্যাগ করতে যোগাসন ও ধ্যানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।