আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুরে ধর্ষণের পর এক কিশোরী হত্যার ঘটনায় তুলকালাম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জেলার কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে থানা ভবনের একাংশ ও পুলিশের কয়েকটি গাড়ি পুড়ে গেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জে এক কিশেোরীকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনা ঘিরে একাধিকবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জের পরিস্থিতি। সবশেষ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) কালিয়াগঞ্জ থানায় হামলার ঘটনা ঘটে।
খবরে বলা হয়েছে, এদিন থানা ভবন ও থানা চত্বরের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাসের পাশাপাশি লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এই ঘটনায় কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে।
স্থানীয় জনতার সাথে সংঘর্ষে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে।
খবরে আরও বলা হয়, এদিন দুপুরের দিকে কালিয়াগঞ্জে থানা অভিযান কর্মসূচি পালনের ডাক দেয় রাজবংশী তফসিলি আদিবাসী সমন্বয় কমিটি। ওই কর্মসূচি থেকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তোলা হয়।
কমিটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে এদিন শত শত মানুষ থানা অভিযানে অংশ নেন। কর্মসূচির আগাম খবর পেয়ে থানার সামনে তিনটি জায়গায় ব্যারিকেড তৈরি করে পুলিশ।
তবে সেসব ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
খবরে বলা হয়, পুলিশের টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের ফলে বিক্ষোভকারীরা আরও মারমুখী হয়ে ওঠে। তারা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।
এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা থানায় ঢুকে ভাঙচুর চালায়। আগুন লাগিয়ে দেয়া হয় থানা ভবনের একাংশে। অগ্নিকাণ্ডে থানায় রাখা একাধিক বাইক ও কয়েকটি গাড়ি পুড়ে যায়।
একই দাবিতে এদিন (২৫ এপ্রিল) রায়গঞ্জে পুলিশ সুপারের দফতর ঘেরাও অভিযান পালন করে রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপি। সেই কর্মসূচি ঘিরেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।