হোম জাতীয় ধর্ষণচেষ্টা মামলা থেকে বাঁচতে বিয়ের পর হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

জাতীয় ডেস্ক :

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ধর্ষণচেষ্টা মামলা থেকে বাঁচতে বিয়ের পর বিবি ফাতেমা আক্তার পলি (৩৯) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় স্বামী মঈন উদ্দিনকে (৪২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।

রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মঈন উদ্দিন একলাশপুর ইউনিয়নের অন্ততপুর গ্রামের কাজীবাড়ির গোলাপ রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি পলাতক।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর মঈন উদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরপর জামিনে গিয়ে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কিছু বখাটে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে বখাটেদের মধ্যে মঈন উদ্দিন কৌশলে ফাতেমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মাত্র এক দিন স্বামীর বাড়িতে ছিলেন ফাতেমা। বাসা ভাড়া নেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ২০০৫ সালের ৩১ আগস্ট ফাতেমাকে হত্যা করে ড্রেনে ফেলে রাখেন মঈন। মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় ফাতেমার বাবা ইব্রাহিম মিয়া বেগমগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

মরদেহ উদ্ধারের পর ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে ফাতেমার স্বামী মঈন উদ্দিনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় ২০০৫ সালে ১৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন