ইবি সংবাদদাতা:
সারাদেশে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে, দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় তারা ২০ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকদের কবর দে’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন? প্রশাসন জবাব দে’, ‘দড়ি লাগলে দড়ি নে, ধর্ষকদের ফাসি দে’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ধর্ষকদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘জাস্টিস ফর আছিয়া, আছিয়া আছিয়া’ ও ’তুমি কে? আমি কে?, আছিয়া আছিয়া’সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, মাগুরায় একটি ছোট্ট শিশু আসিয়াকে ধর্ষণের ঘটনা আমাদের সমাজের জন্য লজ্জাজনক। আছিয়া আমাদের সকলের ছোট বোন। সেই ছোট্ট আসিয়াকে তারই নিকট আত্মীয়রা নরপশুর মতো ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে। আমরা এই ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যাতে পরবর্তীতে আর কেউ ধর্ষণের সাহস না করে। বাংলাদেশের বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণকারীরা পাড় পেয়ে যায়। ফলে বারবার এমন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
তারা আরও বলেন, ধর্ষণকারীদের প্রকাশ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করলে দেশে ধর্ষণের পরিমাণ কমে যাবে। আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাই, ধর্ষকের প্রকাশ্যে ফাঁসি নিশ্চিত করা হোক। যদি সরকার এই শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে মব সৃষ্টি করে ধর্ষকের বিচার করতে হবে।
এসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, জুলাই আন্দোলনসহ যেকোন ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে সবসময় নারীরা এগিয়ে থাকে। কিন্তু আজ তারাই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় আছে। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দেখছি না। দেশে প্রতিনিয়তই ধর্ষণের সংখ্যা বেড়েই চলছে। কিন্তু ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়ার কারণে তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা চাই ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি নিশ্চিত করা হোক। বর্তমান সরকার ধর্ষণসহ অন্যান্য অন্যায় কর্মকাণ্ডের যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা মাঠে নামতে বাধ্য হবে।