হোম তথ্যপ্রযুক্তি দেশে প্রথমবারের মত স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য সার্টিফিকেট কোর্স

দেশে প্রথমবারের মত স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য সার্টিফিকেট কোর্স

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 57 ভিউজ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক:

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে “উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ” শীর্ষক প্রকল্প (আইডিয়া) বিভিন্ন পর্যায়ের স্টার্টআপ ফাউন্ডারদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শুরু করছে।

আইডিয়া একাডেমি জুন-২৪ কোহোর্ট শীর্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় ৩টি সার্টিফিকেট কোর্সে মোট ৯০ জন উদ্যোক্তাকে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। কোর্সে আবেদন গ্রহণ এর শেষ সময় ৫ মে।

স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এবং স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ ভেঞ্চারস লিমিটেডের সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত একাডেমিক কোর্সগুলোর সেশন ও অন্যান্য কার্যক্রম ১২ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আইডিয়া প্রকল্পের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

আইডিয়া একাডেমি জুন-২৪ কোহোর্টের তিনটি কোর্স হলো-
১। নিজস্ব কোনো ব্যবসায়িক আইডিয়া নেই কিন্তু উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী এমন তরুণ-তরুণীদের জন্য ৮টি সেশনের ২০ ক্রেডিটের আইডিয়েশন ও বিজনেজ মডেল সংক্রান্ত কোর্স ভ্যাল্যু সিস্টেম ১০১।

২। নিজস্ব বিজনেস আইডিয়া রয়েছে কিন্তু পরবর্তী ধাপে যাবার জন্য করণীয় সম্পর্কে শিখতে ইচ্ছুকদের জন্য ১২টি সেশনের ৩০ ক্রেডিটের বেসিক অফ ইনোভেশন, অন্ট্রাপ্রেনারশিপ ও স্টার্টআপ সংক্রান্ত কোর্স আইডিয়া বেসিক ১০১।

৩। ইতিমধ্যে নিজের একটি স্টার্টআপ নিয়ে কাজ করছেন এবং আইডিয়া প্রকল্প হতে প্রি-সিড পর্যায়ে অনুদান প্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের জন্য ১২টি সেশন বিশিষ্ট ৩০ ক্রেডিটের স্টার্টআপ লেজিসলেশন, ডকুমেন্টেশন, ফিন্যান্স, একাউন্টিং এবং ইউনিট ইকোনোমিক্স সংক্রান্ত কোর্স স্টার্টআপ ৩০১।

আইডিয়া প্রকল্পের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কোর্সগুলো সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে করানো হবে। ফলে এই সংশ্লিষ্ট কোনো আবেদন বা সার্টিফিকেশন ফি নেই। কোর্সগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে ভিজিট করতে হবে: https://idea.gov.bd/courses

আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমরা স্টার্টআপদের মতই বুটস্ট্র্যাপিং স্টাইলে প্রকল্পের উদ্দেশ্যের মধ্যে থেকেই আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চালু করছি। আমরা একাধিক কোর্স নিয়ে একসাথে কার্যক্রম শুরু করছি যেন একেকটি কোর্সের মাধ্যমে একেক পর্যায়ের নির্দিষ্ট গ্রুপকে আমরা প্রশিক্ষণ দেবার পাশাপাশি তাদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজন অনুসারে পরবর্তী কোহোর্টগুলোতে আরও ভালো কারিকুলাম প্রোগ্রাম ডিজাইন করতে পারি।”

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বিগত দিনে আইডিয়া প্রকল্প থেকে ৩৮৫টিরও বেশি স্টার্টআপদের প্রি-সিড পর্যায়ে ১০ লাখ টাকা এবং প্রায় ২ হাজারেরও বেশি নারী উদ্যোক্তাকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানি হতে প্রতি রাউন্ডে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি আমরা আইডিয়া প্রকল্প হতে বিভিন্ন কোচিং, ট্রেনিং, মেন্টরিং এবং নেটওয়ার্কিং এর সুবিধা আর্লি স্টেজের স্টার্টআপদের জন্য প্রদান করে থাকি। ইতিমধ্যে আইডিয়া আইন অনুমোদনের মাধ্যমে একাডেমি হিসেবে এটিকে প্রতিষ্ঠা এবং উদ্যোক্তাদের জন্য আইডিয়া প্রকল্পের সকল সুযোগ-সুবিধাগুলোকে টেকসইকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশের প্রায় ২,৫০০ স্টার্টআপ প্রায় ১৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বিগত এক যুগে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট পেয়েছে। এর পাশাপাশি তারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয়ভাবেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের যুগোপযোগী পরামর্শ এবং দিক-নির্দেশনার কারণে।”

উল্লেখ্য যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে আইসিটি বিভাগের আওতায় ২০১৬ সাল থেকে উদ্ভাবন সহায়ক ইকোসিস্টেম ও উদ্যোক্তা সংস্কৃতি তৈরিতে কাজ করছে আইডিয়া প্রকল্প।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন