স্বাস্থ্য ডেস্ক :
দেশে করোনাভাইরাস লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আর করোনার অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রনে সংক্রমিতদের ৭৩ শতাংশেরই নাক দিয়ে পানি ঝরছে। সেইসঙ্গে মাথাব্যথা, অবসন্নতা, ক্লান্তিবোধ ও হাঁচির মতো উপসর্গও দেখা যাচ্ছে। রোববার (২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র ওমিক্রনের লক্ষণ ও উপসর্গ তুলে ধরে বলেন, উপসর্গগুলোর মধ্যে ৭৩ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে নাক দিয়ে পানি ঝরছে। মাথা ব্যথার কথা বলেছেন ৬৮ শতাংশ রোগী। ৬৪ শতাংশ রোগী অবসন্নতা ও ক্লান্তি অনুভব করার কথা বলেছেন। হাঁচি হচ্ছে ৬০ শতাংশের। ৬০ শতাংশ রোগী গলা ব্যথা এবং ৪৪ শতাংশ কাশির কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। এর সঙ্গে কিন্তু সিজনাল যে ফ্লু হচ্ছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা হচ্ছে, তার সঙ্গেও কিন্তু মিল রয়েছে। কাজেই যে কোনো পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শেই আমাদের চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।
স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে রোগীর চাপে হাসপাতালে সেবা নিয়ে সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ডা. নাজমুল।
তিনি বলেন, রোগীর সংখ্যা যদি প্রতিদিনই বাড়তে থাকে এবং স্বাস্থ্যবিধিকে অমান্য করে আমরা যদি নিজের মত করে চলতে থাকি, তাহলে কিন্তু রোগীর সংখ্যা আরো বাড়বে। সেটি কিন্তু সামগ্রিকভাবে পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থার উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।
ওমিক্রনের বিস্তারে জানুয়ারির শুরু থেকে দেশে কোভিড রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯০ হাজারের বেশি, যা ১৫ জানুয়ারি ছিল ৩১ হাজার ৭৫৩ জন। অর্থাৎ, মাত্র এক সপ্তাহে সক্রিয় রোগী বেড়ে তিনগুণ হয়েছে।
অধ্যাপক নাজমুল বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এখনও প্রাধান্য বিস্তার করছে, তবে ডেল্টার জায়গা আস্তে আস্তে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দখল করছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া এই ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে।