হোম অন্যান্যসারাদেশ দেবহাটায় মুক্তিযোদ্ধার জমি জবর দখলের চেষ্টা, জান-মালের নিরাপত্তা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

দেবহাটা প্রতিনিধি :

দেবহাটায় পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা ও মংস্য ঘের লুটপাটের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক বীরমুক্তিযোদ্ধা। শুক্রবার দুপুরে দেবহাটা প্রেসক্লাবের এসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার নাংলা গ্রামের মৃত নেছারউদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজমুস শাহাদাৎ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেবহাটা থানার শ্বেতপুর মৌজায় এসএ খতিয়ান-৯৮, ২৫, ৯৩, দাগ নং- ১৪৭, ৬৬, ৮৩, ৬৯, ৮১। যার বর্তমান বিএস খতিয়ান-২০, ১১১, ৬০ এবং দাগ নং- ১৪৮, ৩৭, ৮০, ৮২, ৮৮ তার পৈত্রিক সম্পত্তি। সেখানে একটি মৎস্যঘের করে জীবাকা নির্বাহ করেন ঔ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। কিন্তু ভুলবসত তাদের জমির কাগজে শরীকদের কয়েক জনের নাম চলে আসে।

বিষয়টি তিনি ভুল সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেন। সাতক্ষীরা যুগ্ম জজ আদালতে ২০৩/২১ নং মামলাটি বর্তমানে আদালতে চলমান আছে। কিন্তু মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়ার আগে উক্ত মৎস্যঘের দখল করার জন্য একটি পক্ষ তাকে হুমকি দিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন মুক্তিযোদ্ধা নাজমুস শাহাদাৎ।

এমনকি গত ২ এপ্রিল তারিখ সকাল ৮ টার দিকে নাংলা গ্রামের মৃত দ্বীন আলীর ছেলে বিএনপি নেতা ইয়াসিন আলী ও মৃত এমদাদুল হকের ছেলে লাভলু বিশ্বাসের মদদে মৃত খোরশেদ বিশ্বাসের ছেলে মোতালিব বিশ্বাস, শওকত বিশ্বাসের ছেলে হাবিব, মৃত রশিদ বিশ্বাসের ছেলে মোস্তফা বিশ্বাস ও সাইফুল বিশ্বাস, মনিরউদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে মাজেদ বিশ্বাস, মাজেদ বিশ্বাসের ছেলে ইয়াসিন আলী, গোলাম বিশ্বাসের ছেলে আতিক হাসান (বাপ্পি), হারুন-অর-রশীদের ছেলে কামরুজ্জামান (টিটু) ও রাজিবুজ্জামান (দিপু), মৃত আমির আলী বিশ্বাসের ছেলে নাছির বিশ্বাস, মৃত এমদাদুল হকের ছেলে এনামুল হক, মৃত জব্বার বিশ্বাসের ছেলে ফজলু বিশ্বাস ও হারুন বিশ্বাস, মাজেদ বিশ্বাসের ছেলে রিয়াদ বিশ্বাস, মোতালিব বিশ্বাসের জামাতা আব্দুর রাজ্জাক, মৃত আতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে আফছার বিশ্বাস ও আকবার বিশ্বাস সহ আরো ১০/১২ জন অজ্ঞত ব্যক্তি নিয়ে লুটপাট করে। এতে তার মৎস্যঘেরে মাছ নিধন ও ভাংচুর করে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে বলেও অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় থানা প্রশাসনকে তিনি অবহিত করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উভয়কে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলেও তা না মেনে উল্টো প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে চলেছেন বলে দাবি ঐ মুক্তিযোদ্ধার। এমনকি আদালতের মামলা না তুলে নিলে তার বাড়িঘর ভাংচুর ও জীবননাশ করবে বলে হুমকি দিচ্ছেন প্রতিপক্ষরা। বর্তমানে ঐ বীরমুক্তিযোদ্ধা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলেও দাবি করেছেন। তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন