দেবহাটা সংবাদদাতা:
সাতক্ষীরার দেবহাটায় শ্বশুরবাড়ীর লোকজনদের নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পেতে ফিরোজা বেগম (৩৯) নামের এক গৃহবধূ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি দেবহাটা উপজেলার আজিজপুর গ্রামের আনসার আলীর স্ত্রী। বৃহষ্পতিবার বেলা ১১ টায় দেবহাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফিরোজা বেগম বলেন, বিগত প্রায় ৪ বছর আগে আমি হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে আজিজপুর গ্রামের মৃত আব্বাস মোড়লের ছেলে আনসার আলীর সাথে শরিয়াত মোতাবেক বিয়ে করি। বিয়ের পর আমি জানতে পারি যে আমার স্বামীর ইতোপূর্বে ভারত ও বাংলাদেশে আরো তিনটি বিয়ে রয়েছে এবং তার প্রথম স্ত্রী আমার শ্বাশুড়ী ও ননদদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শিশু সন্তান রেখে আত্মহত্যা করেছে। তবুও ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করায় আমার ফিরে আসার কোন পথ না থাকায় আমি সেখানে সংসার করতে থাকি। শ্বশুরবাড়ীতে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত আমার স্বামীর অংশের কিছু জমি রয়েছে, যে জমিটুকু আমার দুই ননদ শরিফা খাতুন ও ফেরদৌসি খাতুন তাদের দখলে নিতে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে তারা বিভিন্ন সময়ে আমাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। একাধিকবার তাদের নির্যাতনের শিকার হয়ে আমি হাসপাতালে ভর্তি হই। বিগত প্রায় ৯ মাস আগে আমার ননদ শরিফা খাতুন, তার স্বামী আজিজপুর গ্রামের সাবুরালী ও দুই ছেলে মিলে আমাকে স্বামীর ভিটা থেকে তাড়াতে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। এঘটনায় আমি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করি। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। কয়েকমাস আগে আমার স্বামী আমাকে তার বাড়ীতে ফেরে রেখে ভারতে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে চলে যায়। এরপর থেকে আমি শ্বশুরবাড়ীতে অবস্থানসহ এলাকায় দিনমজুরি করে সংসার চালিয়ে আসছি। কিন্তু আমার স্বামী ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে আমার ননদরা আমার ওপর বিভিন্ন সময়ে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এমনকি তাদের প্ররোচনায় পড়ে আমাকে আমার স্বামীর ভিটা থেকে তাড়াতে আমার শ্বাশুড়ীও মরিয়া হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আমি তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। এমতাবস্তায় যাতে করে আমার শ্বাশুড়ী ও ননদদের নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে পারি এবং সুষ্ঠভাবে আমার স্বামীর ভিটায় বসবাস করতে পারি সেজন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পূর্ববর্তী পোস্ট