দেবহাটা প্রতিনিধি :
যশোর জেলার মনিরামপুর থানা এলাকায় একের পর এক চুরি হওয়া মোটরসাইকেলের ২ টি দেবহাটায় উদ্ধার হয়েছে। দেবহাটা থানা পুলিশের দিনভর অভিযানে ২ টি মোটরসাইকেল সহ একটি মোটরসাইকেলর খুলে রাখা পার্টস এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার হয়।
মঙ্গলবার উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের করে লোকেশন ট্রাকিং এর মাধ্যমে উপজেলার চাঁদপুরে দেবহাটা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চোরাই মোটরসাইকেল চক্রের আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। এর আগে মনিরামপুর থানায় মোটারসাইকেল চুরির বিষয়ে সাধারণ ডায়েরী করেন এক ব্যাক্তি।
চুরি হওয়া তার মোটরসাইকেলে লাগানো উন্নয়ন প্রযুক্তির দেওয়া লোকেশন দেবহাটা থানা এলাকায় দেখায়। সংশ্লিষ্ট থানা দেবহাটা থানার ওসি শেখ ওবায়দুল্লাহকে বিষয়টি অবহিত করেন। দেবহাটা থানার ওসির নির্দেশ মোতাবেক সেকেন্ড অফিসার এসআই গোলাম আজম ও এসআই হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে শহিদুল হকের বাড়িতে চোর চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ।
পরে পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলীর যৌথ প্রচেষ্টায় চোর চক্রের আস্তানা শনাক্ত পরবর্তী উক্ত বাড়িতে প্রবেশ করে উঠানে একটি ডিসকাভার মোটরসাইকেলের বিভিন্ন অংশ খুলে রং করতে দেখা মেলে।
পরে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে পুলিশ বাড়ির ভিতর তল্লাশি করে বসতঘরের মধ্যে মোটরসাইকেল গ্যারেজের যাবতীয় যন্ত্রপাতি, মোটারপার্টস, একাধিক হেলমেট, বিভিন্ন মোটরসাইকেলের কাগজপত্র, রং করার উপকরণ সহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের সন্ধান পায়।
উদ্ধার হওয়া মালামাল পুলিশ জব্দ করে দেবহাটা থানা হেফাজতে নেন। এছাড়া ওই বাড়ির ভিতরের একটি পরিত্যক্ত গোয়ালঘর থেকে ১০০ সিসি স্পেলেন্ডার সেই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হয়।
একই স্থানে প্লেট বিহিন ১২৫ সিসি কালো রং এর একটি ডিসকাভার মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়। এদিকে দেবহাটা থানা পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে শহিদুল হকের বাড়ির ভাড়াটিয়া চক্রের অন্যতম সদস্য শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছেলে মিরাজ সরদার ও তার সহযোগীরা সব ফেলে পালিয়ে যায়।
তবে বাড়ির মালিক শহিদুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, পরিবারের সদস্য নিয়ে তিনি খুলনাতে থাকেন। তার বাড়ির একটি অংশ মিরাজ নামের একজনের নিকট ভাড়া দিয়েছেন।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধারনা করা হচ্ছে চোর চক্র বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে ওই বাড়িতে নিয়ে গোপনে রং ও নাম্বার পরিবর্তন করে অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে। একই সাথে উদ্ধার হওয়া মোটরসাইকেল ও সকল আলামত মনিরামপুর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।