হোম অন্যান্যসারাদেশ দেবহাটায় করোনাকালে শিশু ও যুব কল্যাণে বাজেট বরাদ্দের জন্য স্মারকলিপি প্রদান

দেবহাটায় করোনাকালে শিশু ও যুব কল্যাণে বাজেট বরাদ্দের জন্য স্মারকলিপি প্রদান

কর্তৃক
০ মন্তব্য 115 ভিউজ

মাহমুদুল হাসান শাওন, দেবহাটা:
মহামারী করোনা কালীন সময়ে শিশু ও যুব কল্যাণে বাজেট বরাদ্দের জন্য দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া এবং পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর ৭ দফা সুপারিশ পেশ করে স্মারকলিপি প্রদান করেছে কুলিয়া এবং পারুলিয়া ইউনিয়ন যুব ফোরাম। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে কুলিয়া ও পারুলিয়া ইউনিয়ন যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দরা স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করেন।

যুব ফোরাম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া, পারুলিয়া এবং দেবহাটা ইউনিয়নে শিশু ও যুবকদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের নতুন বাজেটে শিশুদের এবং যুবকদের কল্যান বিবেচনায় রেখে কুলিয়া এবং পারুলিয়া ইউনিয়নে যুব ফোরামের পক্ষ থেকে বাজেট বরাদ্দের সুপারিশ সহ স্মারকলিপি দুটি পেশ করেন ইব্রাহিম হোসেন ও সুমাইয়া ইয়াসমিন।

এসময় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদ্বয় মো. আসাদুল ইসলাম ও মো. সাইফুল ইসলাম স্মারকলিপি গ্রহন করেন। স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফুলি সরকার, দেবহাটা এরিয়া প্রোগ্রামে কর্মরত সুশীলন এর প্রকল্প কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ। যুব ফোরামের দেয়া স্মারক লিপিতে যে সুপারিশগুলো তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো।

। কুলিয়া এবং পারুলিয়া ইউনিয়নের শিশুদের সুরক্ষার জন্য খাত ভিত্তিক সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ অব্যাহত রাখা, যা হবে মোট বাজেটের ১০% এবং বাজেট বাস্তবায়নে শিশুদের মতামত ও অংশগ্রহন নিশ্চিত করা। একই সাথে শিশুদের বাজেটের জন্য সুনির্দিষ্ট বাজেট কোড ব্যবহার করা।

। বসবাসরত জনগনের মাঝে কোভিড ১৯ বিষয়ক সচেতনতা সহ বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম বন্ধে মাইকিং করে, বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে , সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের ব্যাবস্থা করা।

। ইউনিয়নের শিশুদের জন্য আলাদা আলাদা ডাটাবেইজ প্রণয়ন করা যেমন- শিশু শ্রমিক, প্রতিবন্ধী শিশু এবং ঝুঁকিপুর্ন শিশু। যেন এখান থেকে জনগন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট এলাকার শিশুদের সার্বিক তথ্য এবং উপাত্ত সংগ্রহ করার মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া শিশুদের বিভিন্ন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

। শিশুবিবাহ, শিশুশ্রম এবং শিশুর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা বন্ধে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম গ্রহন করা ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ইউনিয়নে একজন মনোসামাজিক পরামর্শক নিয়োগ প্রদান করা যেন মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত শিশুরা পরামর্শ গ্রহন করতে পারে।

। সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশু পরিবার, প্রতিবন্ধী ও ঝুকিপুর্ন শিশু পরিবারের জন্য বরাদ্দের পরিমান বৃদ্ধি করা।

। কোভিড ১৯ কে বিবেচনায় রেখে এই মহামারীকালীন সময়ে স্বাস্থ্যখাতে শিশুদের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ রাখা, যাতে করোনা মহামারীকালীন সময়ে কোন শিশুই স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।

। যুবকদের জন্য প্রশিক্ষণখাতে বিশেষ বরাদ্দ রাখা এবং এই সময়ে যুবকরা যাতে ঘরে বসে উপার্জন করতে পারে সেজন্য বিশেষ অনলাইন ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন