হোম জাতীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ডিসি-ইউএনওদের নির্দেশ

দুর্গাপূজা উপলক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ডিসি-ইউএনওদের নির্দেশ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 72 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

শারদীয় দুর্গাপূজার সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ডিসি-ইউএনওদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

মোজাম্মেল হক বলেন, পূজা আসন্ন, সে সময় আইনশৃঙ্খলা যাতে বিঘ্ন না হয়, নির্বিঘ্নে যাতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা যায়; সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজর রাখবে। ডিসি-ইউএনওদের প্রয়োজনীয় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিবাদকে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি। মুসলিম-অধ্যুষিত অনেক দেশে যেভাবে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে, আমাদের দেশে তা ঘটেনি। জনগণও চায় না এমন ঘটনা ঘটুক।’

নির্বাচন সামনে রেখে বাইরে থেকে অস্ত্র আসার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিজিবিসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কিছু সংখ্যক এনজিওর কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিঘ্নিত হচ্ছে জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘অল্প কিছু এনজিও দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য এলার্মিং (হুমকি)। আমাদের কাছে তথ্য আছে যে কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের নিরুৎসাহিত করছে, গুজব রটাচ্ছে যে মিয়ানমারে গেলে তারা নিগৃহীত হবে, আবার নির্যাতিত হবে। এই অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, বিদেশে বসে করা সাইবার ক্রাইম বন্ধ করা যাচ্ছে না। তারা মিথ্যাচার ও গুজব রটাচ্ছে। সত্যি ঘটনা তুলে ধরে পাল্টা জবাব দেয়ার জন্য এনটিএমসিকে আরও সক্রিয় হওয়ার বলা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি রাজনৈতিক দল বুঝবে। কোনো দলকে নিয়ন্ত্রণ করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব নয়। তাদের সার্বিক দায়িত্ব জনগণের সবকিছু যাতে স্বাভাবিক হয় সেটি দেখা।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কমিশন এরই মধ্যে টেনটেটিভ সময় ঘোষণা করেছে–নভেম্বরের মাঝামাঝি তারা শিডিউল ঘোষণা করবে। নির্বাচনকালে সবকিছু কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকে, সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা করবে, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যা যা করার তা পালন করবে।

একটি দল নির্বাচন বর্জন করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে কি না, এমন প্রশ্নে মোজাম্মেল হক বলেন, জনগণের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তারা জনগণের জন্য, কোনো দলের জন্য নয়। তারা সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন