হোম অন্যান্যসারাদেশ দু’মাস পর সুন্দরবনের নদী ও খালে জেলেরা

দু’মাস পর সুন্দরবনের নদী ও খালে জেলেরা

কর্তৃক
০ মন্তব্য 80 ভিউজ

মোংলা প্রতিনিধি:

বনবিভাগের নিষেধাজ্ঞা শেষে মৎস্য আহরনে নদীতে নেমে পড়েছে জেলেরা।দু’মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে উপকুলের জেলেরা মাছ ধরতে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে ট্রলার, নৌকা নিয়ে নেমে পড়েছেন ।

প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে গত জুলাই ও আগস্ট মাস পর্যন্ত বনের অভ্যন্তরের জেলেদের নদী-খাল ও জলভুমিতে প্রবেশ ও সকল প্রকার মৎস্য আহরন বন্ধ রাখা হয়েছিল। আর এতে চরম হতাশা আর দূরাবস্থার মধ্যে পড়েছিল সুন্দরবন উপকুলের প্রায় ৩০ হাজার জেলে পরিবার। এদিকে দু’মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় মাছ ধরার অনুমতিতে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল হাজার হাজার জেলে পরিবারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, প্রজনন মৌসুম থাকায় নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ থেকে জেলেদের সুন্দরবনের অভ্যন্তরের বিভিন্ন খাল ও নদীতে পুনরায় মাছ শিকারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সীমিত আকারে জেলেদের মাছ ধরার এ ধরনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জেলেদের ছদ্মবেশে কেউ যাতে বিষ দিয়ে মাছ শিকারসহ বেআইনী কর্মকান্ডে জড়িত না হন সে জন্য বন রক্ষীদের টহল ও অন্যান্য কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
বন বিভাগ ও জেলেদের সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনে ছোট বড় মিলিয়ে ৪৫০টি নদী-খাল রয়েছে। বনাঞ্চলের এ জলাভুমির মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষিত ৩০টি খাল এবং ২৫ ফুটের কম প্রসস্ত খালে সারা বছরই মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। আর বাকী অংশের নদী-খাল ও জলাভুমিতে
পারমিটধারী জেলেরা মৎস্য আহরন করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। বনাঞ্চালে মৎস্য আহরনের উপর সুন্দরবন উপকুলের প্রায় ৩০ হাজার জেলে পরিবারের জীবন জীবিকা নির্ভর। এদের বেশির ভাগই জেলেই বংশ পরম্পরায় সুন্দরবনে মাছ ধরে

জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। মোংলা ও আশপাশের এলাকাসহ সুন্দরবন লাগোয়া এলাকার বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীও বনের মৎস্য সম্পদ আহরন ও বিকিকিনির সঙ্গে জড়িত। সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানস এর (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সালে বন বিভাগ প্রতিবছর ১ জুলাই ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সকল নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।

মৎস্য আহরনের এ নিষেধাজ্ঞা গত সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই বন বিভাগের অনুমতি ও পাসপারমিট সংগ্রহ করতে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্টেশন সমূহে জেলেদের ভিড় বেড়েছে। অনেকেই আগে থেকে অনুমতি পত্র সংগ্রহ করে মঙ্গলবার দিন থেকেই মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন