অনলাইন ডেস্ক:
দুই সন্তানের মাকে ধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ থানায় মামলা হলেও আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। অন্যদিকে মাকে হারিয়ে দিশেহারা তার দুই সন্তান। মেয়ের হত্যার বিচারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন বিউটির বাবা হবিবুর রহমান। ঘটনাটি ঘটছে দিনাজপুর সদর উপজেলার তেলীপাড়া গ্রামে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হওয়ার পরই আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে জানায় পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার তেলীপাড়া গ্রামে তালাকাপ্রাপ্তা বিউটি বেগম তার দুই সন্তান নিয়ে তিন বছর যাবত বাবার বাড়িতে থাকতেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিউটিকে বাড়িতে না পাওয়া খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় পরিবার জানতে পারে কীটনাশক খেয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মেয়েকে দেখতে গেলে বিউটি তার বাবাসহ পরিবারকে অপহরণসহ ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বলেন।
বিউটি জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় মিজানুর রহমান বাড়িতে তিনদিন আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। লোকলজ্জার ভয়ে রাতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সকাল সাড়ে ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিউটি মারা যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিউটির মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করা হয়েছে।
বিউটির বাবা হবিবুর রহমান ও মা শরীফা বেগম অভিযোগ করে বলে জানান, আমার মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর মেরে ফেলা হয়েছে। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, সঠিক তদন্ত করতে আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে বিউটি বেগমের বাবা হবিবুর রহমান ২০ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিজানুর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।