হোম রাজনীতি দুই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দুই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 60 ভিউজ

রাজনীতি ডেস্ক:

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন ও ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলেনে একথা বলেন তিনি।

দুই রাষ্ট্রদূত বুধবার তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে এসেছিলেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করছে।’

নির্বাচনের পর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে গুঞ্জন ছিলো। কিন্তু এদিনের বৈঠকে পিটার হাসকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে, সেই অস্বস্তি কতটা কাটল- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করার কথা বলেছে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার মার্কিন সরকারের সাথে একযোগে কাজের ব্যাপারে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই রাষ্ট্রদূতের সাথেই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের একটি বড় উন্নয়ন সহযোগী। বাণিজ্য ক্ষেত্রেও তারা একটি বড় বাণিজ্যের অংশীদার। গত ৫২ বছরের পথচলায় মার্কিন সহায়তার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হয়েছি। মার্কিন রাষ্ট্রদূতও নতুন সরকারের সাথে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। আর বাণিজ্য আরও বিস্তৃত করা এবং সরাসরি বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নানা বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের কো-অপারেশন আছে। আমরা জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে, উগ্রবাদ মোকাবেলায় দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করেছি। আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেকে পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিল, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে, প্রায় ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে, যেটি ভালো সংখ্যা। কারণ নির্বাচনের দিন সকালে অনেক কুয়াশা এবং ঠান্ডাও ছিলো। সেটি না হলে ভোট আরও ১০ শতাংশ বেশি পড়ত। এ বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি।’

রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলেছি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে তাদের সহায়তা সব সময় চাওয়া হয়, সেটা বলেছি। আজকেও সেটি ফের জানানো হয়েছে। তারা আমাদের সহায়তা করবে, এ লক্ষ্যে আমরা একসাথে কাজ করে যাবো। আবার ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাথেও এটি নিয়ে কথা বলেছি।

‘রোহিঙ্গা ইস্যুটি শুরুতে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় অমানবিক হামলার ঘটনায় বিশ্বের দৃষ্টি অনেকটা সরে গেছে। সেজন্য আমি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেছি যে, রোহিঙ্গা ইস্যুটি আমাদের জন্য সমস্যা। বাংলাদেশ ঘন জনবসতির একটি দেশ। সেখানে ১৫ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের জন্য বাড়তি সমস্যা। সেজন্য তাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে মিয়ানমারে পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করেছি,’ বলেন মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইইউর সঙ্গে অংশীদারিত্ব চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন