আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মধ্যপ্রাচ্যের ছোট দেশ কুয়েতের রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটছেই না। ফের দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ‘রয়েল ডিক্রি’ জারি করে এমনটি করা হয়েছে। এর আগে গত মার্চে সংবিধান আদালত ২০২২ সালের নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করে ও পূর্ববর্তী পার্লামেন্টকে মদসদনে বসার রায় দেয়। তবে, দুমাস টেকেনি সেই পার্লামেন্ট। দেশটির সংবাদ সংস্থা কুনা এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
গতকাল সোমবার (১ মে) ওই ডিক্রিতে স্বাক্ষর করা হয়। এর আগে কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মেশহাল আল-আহমাদ আল-জাবের আল সাবাহ নতুন করে নির্বাচন হওয়ার আভাস দিয়েছিলেন। তেল সমৃদ্ধ দেশটির ক্রাউন প্রিন্স গত মাসে বলেছিলেন, ‘পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হবে এবং আগামী মাসে নতুন পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপসাগরীয় দেশ কুয়েত পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেকের সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে দেশটির সরকার ও নির্বাচিত আইন প্রণেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে। এর ফলে দেশটির যে কোনো আর্থিক সংস্কার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আল-জাজিরা বলছে, ভেঙে দেওয়া পার্লামেন্টটি ২০২০ সালে প্রথম নির্বাচিত হয়। তবে, দ্বন্দ্বের জেরে পরের বছরই অর্থাৎ, ২০২১ সালে সেই পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করা হয়। পরে, সেই বছরের সেপ্টেম্বরে নির্বাচনে বিরোধীরা জয় লাভ করে। তবে, গত মার্চে সংবিধান আদালত ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করে ও আগের পার্লামেন্টকে ক্ষমতায় বসার জন্য রায় দেয়।
সোমবারের ডিক্রিতে স্বাক্ষর করা শেখ মেশহালকে ২০২১ সালে ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করে রাষ্ট্র পরিচালনা সংক্রান্ত অধিকাংশ দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। সরকার-পার্লামেন্ট দ্বন্দ্ব এড়াতে কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমেদ আল-সাবাহ এমনটি করেছিলেন। তবে, পার্লামেন্ট ও মন্ত্রীসভার মধ্যে সম্পর্কে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এমনকি, গত রোববার মন্ত্রীসভা শেখ মেশহালের কাছে ডিক্রিটি জমা দেয়।
কুয়েতে পার্লামেন্টারি ব্যবস্থা প্রচলিত থাকলেও দেশটিতে কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নেই। দেশটির সংবিধানে রাজনৈতিক দল গঠন নিষিদ্ধ রয়েছে। যারা নির্বাচনে প্রার্থী হন, তাদের প্রায় সবাই দেশটির অভিজাত সম্প্রদায়ের; যাদের একটি অংশ আবার আমির বিরোধী। এমনকি দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নির্ভর করে সরকার ও পার্লামেন্টের সহযোগিতার ওপর।