অনলাইন ডেস্ক:
ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। অবরোধের ফলে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে এ এলাকায় প্রায় দশ কিলোমিটার জুড়ে যানজট তৈরি হয়। তবে, প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় ৫ ঘন্টা বন্ধ থাকার পরে স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচল।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার প্রতিবাদে মধুখালী রেলগেটে মানববন্ধনের ডাক দেয়া হয়। স্থানীয় সর্বসাধারণের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচি পালনে সেখানে সমবেত হয় হাজারও জনতা। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়। এ সময় সমবেতরা একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে মালেকা চক্ষু হাসপাতালের সামনে, কামারখালী ব্রিজের অদূরে মাঝিবাড়িতে ও বাগাটের ঘোপঘাটসহ বিভিন্নস্থানে অবস্থান নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিক্ষুব্ধরা মহাসড়কে উঠে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে জনতা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এরপর মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে গাছের গুড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে তারা।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন বলেন, ডুমাইনের পঞ্চপল্লীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধুখালী উপজেলার পাইলট স্কুল থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করা হয়। কোথাও বুঝিয়ে শুনিয়ে, কোথাও টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। এ কারণে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসণে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, পুলিশি তৎপরতায় কয়েকবার যান চলাচল চালু হলেও তা পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। তবে, বর্তমানে স্বাভাবিক যান চলাচল। যানজট এড়াতে বিকল্প পথেও চলাচল করছে যানবাহন। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে। ঘটনাস্থলে পুলিশের রায়ট কার মোতায়েন রয়েছে।