হোম আন্তর্জাতিক দুইদিন পর মুক্তি পেলেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

অভ্যুত্থানের দুইদিন পর মুক্তি দেxয়া হয়েছে সুদানের প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লা হামদককে। জীবন বাঁচাতেই তাকে সেনাবাহিনীর কাছে রাখা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন সেনা অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান। এমনকি দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ঠেকাতেই সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে, অবৈধভাবে ক্ষমতাগ্রহণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি করেছে সুদানের সেনা সদস্যরা। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মানুষ রাস্তায় নামলে তাদের ওপর গুলি চালায় তারা। গুলি করার ভিডিওটি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছেন।

বুধবারও দেশটিতে সেনাবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমেছে হাজারো মানুষ। তবে, মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সেনা অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান। বলেন, দেশকে ভয়ঙ্কর সঙ্কটের হাত থেকে বাঁচাতেই ক্ষমতা গ্রহণ করেছে সেনাবাহিনী।

তিনি বলেন, দেশ বিপদের দিকে যাচ্ছিল। এছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না। প্রধানমন্ত্রী তার বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে, তার বিপদ হতে পারে। তাই আমাদের সাথে তাকে রাখা হয়েছিল।

এদিকে, সুদানে সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয় এমন কাজ পরিহার করতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভান। আর ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বাকি বন্দিদের মুক্তি দিতে বলেছে জাতিসংঘ।

জেইক সালিভান বলেন, ওই অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। তবে, সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বেসামরিক নাগরিকদের জীবনমাল রক্ষাকে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস বলেন, সুদানের মানুষ সেনা শাসন চায় না। তারা রাস্তায় নেমেছে। দেশটিতে অবৈধভাবে আটক বন্দিদের দ্রুত মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।

গেলো সোমবার সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে সুদানের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। বন্ধ করে দেওয়া হয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ইন্টারনেট সংযোগ। দেশজুড়ে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন