হোম বিনোদন দিশার মায়ের স্ট্যাটাসের কড়া জবাব দিলেন লুবাবা

দিশার মায়ের স্ট্যাটাসের কড়া জবাব দিলেন লুবাবা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 144 ভিউজ

বিনোদন ডেস্ক:

আমি দিশাকে টিকটকার বলেছি, কেননা আমি তাকে সবসময় টিকটকেই দেখেছি। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবা।

এ সময় দিশা মনির মা রিমা ইসমাথ ডেইজির স্ট্যাটাস প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, দিশার মা বলেছে, আমি নাকি নিজের গুণে এগোয়নি। আসলে আমি এসব বলতেও চাই না।

দিশার মাকে কটাক্ষ করে লুবাবা বলেন, আমি কিন্তু আমার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিইনি।

দিশার সঙ্গে কাজের প্রসঙ্গে লুবাবা বলেন, অনেক আগে ভিম লিকুইডের একটি কাজ আমরা একসঙ্গে করেছি। এর পর আর আমাদের দেখা হয়নি। সবশেষ চিত্রনায়িকা পরীমণির ছেলে পদ্মর জন্মদিনে আমাদের দেখা হয়। ওইদিন দিশার আম্মু আমাকে ডেকে বলেন, চলো ভিডিও বানাই। এই ভিডিও টিকটকে পোস্ট হবে আমি জানতাম না। পরদিন দেখি সেটি টিকটকে পোস্ট করা হয়েছে।

লুবাবা বলেন, আমি এখন দিশাকে চিনেছি। এ বিষয়ে আর কোনো ঝামেলা না করি। আমরা সবাই মিলেমিশে থাকি। আর অবশ্যই আমি কারো বিষয়ে খারাপ কথা স্ট্যাটাসে লিখব না।

মূলত সময় সংবাদে দেয়া এক সাক্ষাৎকারের কারণে আলোচনায় আসে লুবাবা। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুশিল্পী দিশা মনিকে উদাহরণ দিয়ে সাংবাদিক একটি প্রশ্ন করলে দিশাকে চিনতে পারেন না লুবাবা। পরে সাংবাদিককে পাল্টা প্রশ্ন করে দিশা মনি কে? একপর্যায়ে টিকটকার দাবি করে চিনতে পারে লুবাবা।

ওই সাক্ষাৎকারের পরই দিশা মনির মা রিমা ইসমাথ ডেইজি ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন।

স্ট্যাটাসে ডেইজি লেখেন, ‘দিশাকে দেশ টিভির একটা ইন্টারভিউতে প্রশ্ন করা হয়েছিল লুবাবা ‘কেন্দে দিয়েছি’ যে বলর এটা নিয়ে কী বলবা? দিশা বলেছে আমরা ছোটো মানুষ, আমাদের ভুল হতেই পারে এটা নিয়ে এত বড় করে দেখার কিছু নেই।’

তিনি আরও বলেন, সেকেন্ড; একটা নাটকে দিশাকে ডায়ালগ দিয়েছিল ‘কেন্দে দিয়েছি’ সেখানে দিশা ডায়ালগ দেয়নি। এটা নিয়ে ডিরেক্টরের সঙ্গে আমার ক্যাচাল, কারণ দিনশেষে তারা কো-আর্টিস্ট।

লুবাবাকে প্রশ্ন করে দিশার মা লেখেন, দিশার ২০০-র বেশি নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপন রয়েছে। দিশা ৩ বছর বয়স থেকে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করে। এই মেয়ে ইন্টারভিউতে দিশাকে চেনে না, দিশাকে টিকটকার বলে। আমি জানতে চাই লুবাবার ঝুলিতে কয়টা নাটক, সিনেমা আছে?

তিনি বলেন, দিশার সঙ্গে অনেক আগে থেকে পরিচয়, বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে শুটিংও করেছে। মিটও হয়েছে তাদের। দিশাকে সে ভালো করেই জানে।

পরিবারের শিক্ষার বিষয়ে ডেইজি লেখেন, কাউকে ছোট করে কেউ উপরে উঠতে পারে না। পারিবারিক শিক্ষাটা আসল। রানু মণ্ডল, কাঁচাবাদাম ওয়ালাও ভাইরাল হয়েছে কিন্তু ভাইরাল এক জিনিস, জনপ্রিয়তা এক জিনিস। দিশা সবার ভালোবাসার, তাকে সবাই ভালোবাসে। দিশা বাংলাদেশের এক নম্বর জনপ্রিয় শিশুশিল্পী যাকে কোটি মানুষ ভালোবাসে।

উল্লেখ্য, প্রয়াত মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা আব্দুল কাদেরের নাতনি সিমরিন লুবাবা। মূলত দাদার হাত ধরেই শোবিজে পথচলা শুরু এই খুদে শিল্পীর।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন