হোম আন্তর্জাতিক দিল্লিতে বিক্ষোভ মিছিল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আটক

দিল্লিতে বিক্ষোভ মিছিল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আটক

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 33 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে দিল্লিতে পার্লামেন্ট থেকে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, শিবসেনার (ইউবিটি) সঞ্জয় রাউতসহ একাধিক সাংসদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ‘আঁতাতের’ অভিযোগ তুলে এ বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পার্লামেন্ট ভবন থেকে নির্বাচন কমিশন ভবন অভিমুখে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়।

ইন্ডিয়া জোটের আরও অভিযোগ, বিহারের এসআইআর ও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটার জালিয়াতি হয়েছে।

মিছিলে অংশ নেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও শারদ পাওয়ারসহ ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। লোকসভা ও রাজ্যসভার বিরোধী এমপিরাও মিছিলে যোগ দেন।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এ মিছিলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি নেওয়া হয়নি। পরে দুপুর পৌনে একটার দিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোয় রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাসহ কয়েকজনকে আটকের খবর আসে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, সাংসদরা পার্লামেন্ট ভবন থেকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় যাওয়ার পথে প্রথমেই পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়েন। তখন সেখানে বসেই স্লোগান দেওয়া শুরু করেন তারা।

কয়েকজন ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করলে পুলিশ এমপিদের আটক করা শুরু করে। আটক এমপিদের মধ্যে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র,মিতালি বাগও রয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।

রাহুল ও অন্য সাংসদদের বাসে করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের কংগ্রেসের এ নেতা বলেন, “এই লড়াই রাজনৈতিক নয়, এটি সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। লড়াই ‘এক ব্যক্তির এক ভোটের’ জন্য।”

দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার দীপক পুরোহিত সাংসদদের আটক করার কথা নিশ্চিত করলেও কতজনকে আটক করা হয়েছে তা বলতে পারেননি। গ্রেফতার নেতাদের কাছাকাছি থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “বিহারের ভোটার সংশোধনী প্রথমবার হচ্ছে না… কংগ্রেস ইভিএম নিয়ে মিথ্যা বলছে, মহারাষ্ট্র নির্বাচন নিয়ে আওয়াজ তুলছে… এটা তাদের ভালভাবে চিন্তাভাবনা করা কৌশল, অরাজকতা সৃষ্টির জন্য…”

ভারতের বিহার রাজ্যে নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরি ও ভোটার হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন যেসব শর্ত দিয়েছে, তা নিয়েও ইন্ডিয়া জোটের আপত্তি রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিহার রাজ্যে আগে ভোট দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হিসেবে বিবেচিত আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড দিয়ে এখন আর চলবে না। বরং ভোটারদের ১১ ধরনের প্রমাণপত্রের যেকোনও একটি দিতে বলা হয়েছে। যেমন: জন্মসনদ, পাসপোর্ট, বন অধিকার সনদ বা সরকারি শিক্ষা সনদ।

ঘটনার পর পুলিশ পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়। এছাড়া এই নাটকীয় প্রতিবাদে ভারতের উভয় পার্লামেন্ট অধিবেশন দুপুর ২টা পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন