হোম অন্যান্যসারাদেশ দাকোপে সমাজসেবার পিওন-এর বিরুদ্ধে চার বছর বই আটকে রেখে বয়স্ক ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ

দাকোপে সমাজসেবার পিওন-এর বিরুদ্ধে চার বছর বই আটকে রেখে বয়স্ক ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ

কর্তৃক
০ মন্তব্য 86 ভিউজ

সৌরভ মন্ডল (দাকোপে) :
খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের পিওন সুভাষ চন্দ্র রায় এর বিরুদ্ধে এক ব্যাক্তির বয়স্ক ভাতার বহি আটকে রেখে দীর্ঘদিন ধরে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।পানখালি ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ঠাকুর দাস রায় (৬৮)এর বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে আসছে দীর্ঘ চার বছর ধরে পিওন সুুভাষ চন্দ্র রায়।

অভিযোগের সুত্রধরে সরেজমিনে তদন্তকালে ঠাকুরদাস রায় (৬৮)পিতা-মৃত শিশুবর রায়,মাতা-মৃত সুরভী রায় বলেন, এখান থেকে চার বছর আগের কথা তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও ছবি নিয়ে থাকে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে কর্মরত পিওন-সুভাষ চন্দ্র রায়।একই এলাকায় তাদের বসবাস তাই তখন আর বেশি খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি।পরবর্তীতে ভাতা কার্ডের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে কার্ড হয়নি,এইতো হবে,প্রক্রিয়া চলছে সহ বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে।তার বইটি দীর্ঘ চার বছর ধরে অটকে রেখে সুভাষ নিজে তার ভাতা উত্তোলন করে আসছে।

আস্তে আস্তে বিষয়টা যখন সবার নজরে আসতে থাকে তখন ১৪-০৭-২০২০ তারিখ রাতে ঠাকুর দাসের বাড়িতে গিয়ে বইটি তাকে দিয়ে আসে এবং বলে বইটি এতো দিন খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না হারিয়ে গেছিলো একটা বেনামা জিডির কপি ও সে দেখায়। তার বইটি ২০১৬ সালে অনুমোদন পায় (বই নাম্বার ৪৬০৩/ব্যাংক হিসাব নাম্বার ২০১০১৫৪৭৬)অতপর দীর্ঘ প্রতিক্ষার চার বছর পর ভুক্তভোগী ঠাকুরদাস রায় (১৫-০৭-২০২০)প্রথম বারের মত ভাতার টাকা উত্তোলন করতে সক্ষম হন।

এব্যাপারে অভিযুক্ত পিওন সুভাষ চন্দ্র রায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ স্বিকার করে বলেন,আমি এতো দিন টাকা তুলেছি সত্যি তবে ঠাকুর দাস রায় এখন চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে সব মিত্যা অভিযোগ করছে তাকে অবগত করে এমনটা করা হয়েছে।আমাদের নিজেদের মধ্যে পূর্বের কিছু লেনদেন ছিলো তার জন্য আমি টাকা তুলে আসছিলাম।

উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা প্রবীর রায় বলেন, তিনি কখনোই দূর্নীতির সাথে আপস করতে রাজি না দাকোপ সমাজ সেবা কার্যালয়কে দূর্নীতি মুক্ত রাখতে তাকে এখানে আনা হয়েছে তিনি কখনোই ঘূস বা দূর্নীতির পক্ষে ছিলো না বা কোনো দিন থাকবে।তার অফিসের পিওন সুভাস চন্দ্র রায় এর বিরুদ্ধে উঠা দূর্নীতির অভিযোগ সঠিক এবং তাকে একসময় এই অফিসে আসা থেকে সবার চেয়ে বেশি বিশ্বাস করতাম কিন্তু এখন আস্তে আস্তে তার সব অপকর্ম প্রকাশ পাচ্ছে তার বিরুদ্ধে অফিসের বালু কেনার টাকা বেশি লেখানো সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে অফিসে।তার এ ভাতার টাকা উত্তোলনের বিষয়টা উপর মহলকে অবগত করা হয়েছে অবশ্যই তারা সুভাষের বিরুদ্ধে তদন্ত সহকারে ব্যবস্থা গ্রহন করবে এমন কি সে তার চাকরি ও হারাতে পারে।তিনি আরো বলেন, আমি দাকোপে থাকা কলীন সময় আমার অফিসের কোনো কর্মীযদি কোনো ভাবে দূর্নীতি করে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না উপযুক্ত শাস্তি তাকে পেতেই হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন