হোম আন্তর্জাতিক দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 55 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আধা ঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়মিত অভিযানের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ও একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) পৃথক কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। উভয় দুর্ঘটনার পর সকল ক্রু সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় বহর। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।

নৌবাহিনী জানিয়েছে, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই জলসীমায় সংঘটিত দুটি দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে তারা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে একটি এমএইচ–৬০আর সিহক হেলিকপ্টার বিমানবাহী ইউএসএস নিমিত্জ রণতরী থেকে নিয়মিত অভিযানে অংশ নেওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয়। নৌবাহিনী জানায়, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল তিনজন ক্রুকে উদ্ধার করেছে।

এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর একই রণতরী থেকে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার সময় একটি এফ/এ–১৮এফ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। নৌবাহিনী জানিয়েছে, বিমানের দুই পাইলটকে নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘটনাটিকে ‘খুবই অস্বাভাবিক’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং জ্বালানির ত্রুটির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। সোমবার মালয়েশিয়া থেকে জাপানগামী এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, তারা মনে করছে জ্বালানিতে সমস্যা থাকতে পারে। আমরা খুঁজে বের করব। লুকানোর কিছু নেই।’

নৌবাহিনীর হিসেব অনুযায়ী, এই বছর এটি অন্তত চতুর্থ এফ/এ-১৮ জেট দুর্ঘটনা — প্রতিটির মূল্য প্রায় ৬ কোটি ডলার।

দক্ষিণ চীন সাগরের অবস্থান কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীনসহ দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ এ সাগরের জলসীমার কিছু অংশের মালিকানার দাবিদার। যদিও আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ জলপথের প্রায় পুরোটার মালিকানা দাবি করে বেইজিং।

মার্কিন বাহিনী ওই অঞ্চলে নিয়মিত উপস্থিতি বজায় রাখছে, যাতে চীনের সার্বভৌমত্বের দাবিকে প্রতিহত করা যায় এবং ওয়াশিংটনের মিত্র ও অংশীদারদের সহায়তা করা সম্ভব হয়।

এই দুটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে এমন সময়ে, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এশিয়া সফরে রয়েছেন। চলতি সপ্তাহে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন, যেখানে আলোচনার মূল বিষয় হবে বাণিজ্য সম্পর্ক।

সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে, যখন উভয় পক্ষই একে অপরের ওপর ব্যাপক বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন