হোম খেলাধুলা দক্ষিণ আফ্রিকায় সাকিব সব ম্যাচ নাও খেলতে পারেন: পাপন

খেলাধূলা ডেস্ক :

সাকিব আল হাসান যেন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশ দলে সাকিব থাকছেন এটা সবশেষ খবর। তবে সাকিব সেখানে কতটুকু খেলবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়। স্বয়ং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানাচ্ছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গেলেও সব ম্যাচ না-ও খেলতে পারেন সাকিব আল হাসান। সাকিব আল হাসানের শারীরিক ও মানসিক ধকলের কথা চিন্তা করে টিম ম্যানেজমেন্ট সাকিবকে ছুটি দিতে পারে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাকিব খেলবেন না কি খেলবেন না- এ নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। এখনও শেষ সিদ্ধান্তে পৌঁছা যাচ্ছে না সাকিব আল হাসান ইস্যুতে। শনিবার (১২ মার্চ) বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সাকিব সব ফরম্যাটে এভেইলেবল।’

তবে পাপনের পরের কথাতেই আবার অনিশ্চয়তার ছাপ; ‘যদি সেখানে গিয়ে সে বিশ্রাম নিতে চায় তা নেবে। তবে সে দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজে থাকছে এটা নিশ্চিত।’ সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকায় যাচ্ছেন, তবে সব ম্যাচে খেলবেন তার নিশ্চয়তা নেই। তার যদি বিশ্রাম দরকার পড়ে তবে টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে এক দুই ম্যাচে ছুটি দিতেই পারে।

তিনি বলেন, ‘ওখানে তিনটা ওয়ানডে, দুটি টেস্ট। এমন হতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট কোনো ম্যাচে ওকে ড্রপ করেছে। এমনও হতে পারে ও একটা ম্যাচে বিশ্রাম চেয়েছে। এটা নিয়ে এত হুলস্থুল করার কিছু নেই। আমার ধারণা সবই খেলবে। না খেললেও কোনো অসুবিধা নেই। ও যদি ওখানে গিয়ে কোনো ম্যাচে বিশ্রাম চায়, নিতে পারে।’

এদিন পাপন কে খেলছে, কে খেলছে না – তা নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে নিষেধ করলেন। সব সিরিজে সবাই খেলবেন, এমনটা নাও হতে পারে। খেলোয়াড়দের যেমন ছুটির দরকার হতে পারে তেমনি কাউকে দল থেকে বিশ্রাম দিয়ে নতুন কাউকে ঝালিয়ে দেখাও হতে পারে। এটাকে স্পোর্টলি নিতে বলছেন বিসিবি সভাপতি।

এদিকে সাকিবের মানসিক অবসাদকে খেলার অংশ হিসেবে মেনে নিচ্ছেন পাপন। এ সময়ে সবাইকে তার পাশে থাকতে বলছেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘এটা খেলারই অংশ। এটাই সারা পৃথিবীতে হয়ে আসছে। এই সময়টায় আমাদের সবার সাকিবকে সাপোর্ট দেওয়া উচিৎ। ওর সাথে থাকা উচিৎ, মানসিকভাবে শক্তি জোগানো উচিৎ। যে সমস্ত আলোচনা, টকশো হচ্ছে, আসলে এগুলো কারও জন্যই ভালো না। আমরা সব সময় ওদের পাশে আছি এবং সামনেও থাকব।’

সাকিব আল হাসানও বলছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে হয়তো তার মন ভালো হয়ে যাবে। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে তার মন খারাপ ভাব চলে গিয়ে আবার চনমনে হয়ে উঠতে পারেন তিনি, এমনটা মনে করছেন এই অলরাউন্ডার।

সাকিব বলেন, ‘আর দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাচারাল বিউটিতে গেলে হয়তো মনও ভালো হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় এমন হয় তো, আপনি যদি ডিফরেন্ট একটা কন্ডিশনে যান, তাহলে মেন্টালিটিটা অনেক চেঞ্জ হয়ে যায়। আশা করি, সে রকম কিছু হবে এবং দলের জন্য ভালো পারফর্ম করতে পারব।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন