বাণিজ্য ডেস্ক:
বুকিং রেট সর্বনিন্ম পর্যায়ে থাকার সুযোগে রেকর্ড আমদানি সত্বেও যখন ভোজ্যতেলের দাম লাগামহীন, তখন রহস্যজনক কারণে নীরবতা। আর এখন সেই বাড়তি দামের যখন স্থিরতা ফিরছে, এই অবস্থায় তেলের মিলগুলোতে অভিযান চালালো ভোক্তা অধিকার। অনেকটা মিলগুলোর বাড়তি দামের বৈধতা দেয়ার মতোই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামের ভোজ্য তেলের মিলগুলোর অভিযানে।
ডলার সংকট, আন্তর্জাতিক বাজারের দাম বৃদ্ধিসহ নানা অজুহাতে কোনো ঘোষণা ছাড়াই বছরের শুরুতে হঠাৎ লিটারের প্রায় ৪ টাকা করে দাম বাড়ায় দেশের বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহ ও বাজারজাত করা প্রতিষ্ঠানগুলো। এরপর আসন্ন রমজান উপলক্ষে সরকারের শুল্ক কমানোসহ নানা পদক্ষেপে পহেলা মার্চ থেকে দাম কমিয়ে নতুন দামে ভোজ্য তেল বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়।
আর দাম কমার পরই পরই উৎপাদন পর্যায়ে অনেকটা লোক দেখানোর অভিযানে নামলো জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। শনিবার (২ মার্চ) চট্টগ্রামে ভোজ্য তেল সরবরাহকারী বড় দুই প্রতিষ্ঠানের কারখানায় অভিযান চালায় সংস্থাটি।
এ সময় প্রতিষ্ঠান দুইটির কারখানায় উৎপাদনের সক্ষমতা অনুযায়ী বর্তমানে উৎপাদনের পরিমাণ এবং বাজারজাতের তথ্য যাচাই করা হয়। এছাড়া ১ মার্চ থেকে কার্যকর হওয়া নতুন দামে তেল সরবরাহ হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে ভোজ্য তেল বাজারজাত করার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। আগামীকালের মধ্যেই সরকার নির্ধারিত দাম বাজারে বাস্তবায়ন হবে।
অভিযানে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাদের মাধ্যমে পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে তেল সরবরাহ করে সে তথ্য চাওয়া হয়। তবে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই প্রতিষ্ঠানগুলো তেল বিক্রি করছে বলে দাবি তাদের।
সিটি গ্রুপের বিওটিটিবি কমপ্লেক্সের মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন আব্দুল করিম বলেন, নির্ধারিত মূল্যে তেল বিক্রি করা হচ্ছে। রমজানে বাজারে তেলের কোনো সংকট হবে না।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনার টাস্কফোর্স সভা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। যা কার্যকর হয় ১ মার্চ থেকে।