অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, তেজগাঁওয়ের মোল্লাবাড়ি বস্তিতে লাগা আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। নাশকতা নাকি শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করা হবে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় এফডিসি সংলগ্ন মোল্লাবাড়ি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘তেজগাঁওয়ের আগুনের ঘটনায় বাড়িওয়ালার দায় আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। এ দুর্ঘটনায় নিহত দুজনের পরিচয় মেলেনি। এবং দুজন নিখোঁজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজ দুজনই নিহত হয়েছেন।’
এর আগে শুক্রবার রাতে ভয়াবহ আগুনে তেজগাঁওয়ের মোল্লাবাড়ি বস্তির তিন শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। সব হারিয়ে নিঃস্ব মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে। তীব্র শীতে অসহায় তারা। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর দগ্ধ দুজনকে পাঠানো হয়েছে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে।
চোখের সামনে নিজের সর্বস্ব পুড়ে গেছে তেজগাঁও মোল্লাবাড়ি বস্তির বাসিন্দা রেহেনা বেগমের। শুধু রেহেনা নয়, আগুনে সব হারিয়েছেন এমন আরও সহস্রাধিক বস্তিবাসী।
বিএফডিসি লাগোয়া এই বস্তিতে গতরাতে হঠাৎই আগুনে ঘুম ভাঙে সবার, শুরু হয় ছোটাছুটি। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো বস্তিতে। মুহূর্তের মধ্যেই পানির ওপর বাঁশ আর কাঠ দিয়ে বানানো বস্তির তিন শতাধিক ঘর পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে একে একে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট। আগুন নেভাতে সহযোগিতা করেন স্থানীয়রাও। ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঘর আর নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর শেষ সম্বল। বেশিরভাগই বের করতে পারেননি কোনো মালামাল।
সব হারিয়ে নিঃস্ব মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে। তীব্র শীতে অসহায় তারা। আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনও জানা যায়নি।