মুরাদ মিয়া, সুনামগঞ্জ :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বন্যার দুর্যোগের কারণে ১০দিন ধরে( প্রায়) ৫০টি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। এতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ১৪ হাজার গ্রাহক চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এ অবস্থায় চুরি-ডাকাতিসহ নানা আতঙ্ক বিরাজ করছে তরং,শিবরামপুর, বেতাগড়া, মাটিয়ান, কদমতলি,খালা শ্রীপুর, উজ্জ্বলপুর, শ্রীপুর, কুড়েরপাড়া, তেলীগাঁও, বালিয়াঘাট, মদনপুর জামালপুর ভোরাঘাট, দুধের আউটা, মন্দিয়াতা, কামালপুর, গোলাবাড়ি, জয়পুর ছিলাইন তাহিরপুর, মুজরাই,ছিরারগাঁওসহ এসব গ্রামগুলোতে।
এবিষয়ে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের কলাগাঁও অভিযোগ কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা ইনচার্জ মামুনুর উর রশিদ বলেন,বন্যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় কুটি ভেঙ্গে যাওয়ায়। জীবন ঝুঁকি ও দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে যেসব গ্রামগুলোতে পানি কমেছে বা ঝুঁকি কম, সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য ১৮ জুন থেকে পাহাড়ি পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুত ভাবে উপজেলাসহ ইউনিয়নের গ্ৰামগুলোতে আস্মিক বন্যা দেখা দেয়। তবে এলাকাবাসীর দাবি এর অকাল বন্যায় হওয়ায় দ্বিগুণসংখ্যক গ্রাহকের বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে।
তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তরং গ্রামের লালশাদ মিয়া বলেন, রাত হলে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। বর্ষার সময় ডাকাতির আশঙ্কা বেশি থাকে। এ কারণে রাতে গ্রামবাসীদের সজাগ থাকতে হয়।
একই ইউনিয়নের সিলানী তাহিরপুর গ্রামের আবদুল হালিম বলেন,পানির দুর্ভোগ যেমন-তেমন। রাত্রের অন্ধকারে হাওর পাড়ের গ্ৰামগুলোতে মানুষের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি আরও ভয়ংকর।
এ বিষয়ে উপজেলা দৈনিক দেশ জগত পত্রিকার প্রতিনিধি এস এ আখঞ্জি বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে মানুষ । বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় দিনে ও রাতে কাজের ব্যাঘাত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলী হায়দার বলেন, জনগণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অতি জরুরী বিদ্যুৎ দেওয়া দরকার।