আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
আফগানিস্তানের মানবিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করতে প্রস্তুত থাকলেও তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার জানিয়েছে তুরস্ক।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ভারপ্রাপ্ত আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মোত্তাকিকে তুরস্কে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত খাভুসগলু। দুজনের মধ্যে বৈঠকের পর তিনি এমন দাবি করেছেন। দুদশকের লড়াইয়ের পর ক্ষমতায় এসে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বৈধতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তালেবান।-খবর এএফপির
কাতারে রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর তুরস্ক সফরে যান মোত্তাকি। এর আগে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, তালেবানের ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞায় আফগানিস্তানের নিরাপত্তাকে আরও হুমকিতে ফেলে দেবে।
আংকারায় রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর মোত্তাকির দেওয়া বার্তাকে সমর্থন জানিয়েছেন কাভুসগলু। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান তালেবান প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার গুরুত্ব আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলেছি। কার্যত, তালেবানকে স্বীকৃতি ও তাদের সঙ্গে কাজ করা দুটি ভিন্ন বিষয়।
তিনি বলেন, আফগান অর্থনীতি ভেঙে পড়তে দেওয়া উচিত হবে না। যে কারণে, আমরা বলেছি যে যেসব দেশ আফগানিস্তানের অর্থ জব্দ করেছে, তাদের আরও নমনীয় হওয়া উচিত। যাতে তারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারেন।
আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানের প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর ন্যাটো জোটভুক্ত একমাত্র মুসলমান দেশ হিসেবে বড় ভূমিকা রাখতে চায় তুরস্ক।
কিন্তু কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে আংকারা। আর এই বিমানবন্দর দিয়েই আফগানিস্তানে বিভিন্ন দেশের মানবিক সহায়তা পৌঁছাবে। কিন্তু তুরস্কের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কাবুল। এ পর্যন্ত দুদেশের মধ্যে উচ্চ-পর্যায়ের যেসব বৈঠক হয়েছে, তাতে কাবুল বিমানবন্দর নিয়ে পরিষ্কার কোনো অগ্রগতি হয়নি।
কাভুসগলু বলেন, বিমানবন্দর দিয়ে নিয়মিত ফ্লাইট চালু হওয়ার আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আজও তাদের ব্যাখ্যা দিয়েছি। কেবল আমাদের নিরাপত্তাই না, বরং পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কথাও এখানে ভাবতে হচ্ছে।
নারীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল খুলে দিতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই আহ্বানকে পূর্বশর্ত কিংবা দাবি হিসেবে না দেখতে বলা হয়েছে। কিন্তু তালেবানের কাছে অন্যান্য মুসলমান দেশেরও একই চাহিদা।