নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার তালার হাজরাকাটি বাজারে ভাড়াটিয়া বাহিনীর সহযোগিতায় পৈত্রিক দোকান ভাংচুর করে দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তালা উপজেলার হাজরাকাটি গ্রামের মো: কিরামত আলী শেখ এর স্ত্রী মোছা: রাশিদা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তালা উপজেলার হাজরাকাটি মৌজায় ৬৮ নং দাগে আমার স্বামী পৈত্রিক .৭৫ শতক সম্পতিতে দোকান ঘর নির্মান করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। এছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছেও ভাড়া দিয়ে তিনি ভোগদখল করতেন। পাশপাশি তিনি সেখানে দীর্ঘদিন ধরে মুরগি বিক্রি করে আসছিলাম। দোকানটি জরাজীর্ণ হওয়ায় আমার স্বামী সেটি সংস্কারের কাজ শুরু করলে স্থানীয় রফি খা’র ছেলে শাহাদাত, আফজাল, আকরাম ও জাহিদ গংরা অবৈধভাবে ওই দোকানটি দখলের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। একপর্যায় শাহাদাত গং সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করলে সেনা ক্যাম্পের অফিসার সুষ্ঠু সমাধান করে দেন। কিন্তু শাহাদাত গং সে শালিশ না মেনে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমানের কাছে ফের অভিযোগ দায়ের করেন। ওসি থানায় আগামী ৫ জানুয়ারি শালিসের তারিখ নির্ধারণ করেন।
রাশিদা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, থানার ওসি সাহেবের ডাকা শালিসের আগেই সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) শাহাদাতের নেতৃত্বে আফজাল, আকরাম, জাহিদ এবং তাদের ভাইপো জিসানসহ ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে উক্ত দোকানঘর ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়। বিষয়টি ওসিকে জানালে তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করেছেন। আমাদের ধারনা শাহাদাত গংদেও দ্বারা ওসি শাহিনুর রহমান প্রভাবিত হয়ে তাদের পক্ষ নিয়েছেন। ওসি’র নির্দেশনা পেয়েই শাহাদাত গংরা আমার স্বামীর দোকান জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে তারা।
তিনি আরো বলেন, শাহাদাতের ছেলে সরকারি কর্মচারী হওয়ার সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে আমাদের দোকান দখল করে নিয়েছে। আমি একজন নারী হলেও শাহাদাত নিজে আমাকে মারপিটসহ শ্লীলতাহানি ঘটায়। ইতোপূর্বেও আমাকে মারপিট করেছে শাহাদাত। আমরা গরিব অসহায় প্রকৃতির অন্যদিকে শাহাদাতগং বিত্তশালী হওয়ার অর্থের বিনিময়ে সব কিছুই ম্যানেজ করে।
তিনি অসহায় নিরিহ হওয়ার সুযোগ নিয়ে ভাড়াটিয়া বাহিনীর সহযোগিতায় দীর্ঘদিনের পৈত্রিক দোকানঘর দখল নেওয়ার সাথে জড়িত শাহাদাত গংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক ন্যায় বিচার নিশ্চিতের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।