হোম অন্যান্যসারাদেশ তালায় অন্তঃসত্ত্বা সোনিয়া অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে ঘুরছে দ্বারে দ্বারে

তালায় অন্তঃসত্ত্বা সোনিয়া অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে ঘুরছে দ্বারে দ্বারে

কর্তৃক
০ মন্তব্য 80 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
দীর্ঘ চার বছরের প্রেম নাজমুল-সোনিয়ার। তবে সোনিয়ার অমতে পিতা-মাতা তাকে বিয়ে দেয় অন্যত্র। কিন্তু পিছু ছাড়েনি প্রেমিক নাজমুল। যে-কারনে স্বামীর বাড়িতে ঘর করতে পারেনি সোনিয়া। চলে আসতে বাধ্য হয় বাবার বাড়িতে। বিয়ে হয় নাজমুলের সাথেই। কিছুদিন পরই সোনিয়াকে তালাক দেয় নাজমুল।

এখানেই শেষ নয় সোনিয়া-নাজমুলের প্রেম-কাহিনী। তালাক দেওয়ার পরও সোনিয়ার পিছু ছাড়েনি নাজমুল। প্রায় নয় মাস ধরে তালা উপ-শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে নাজমুল-সোনিয়া বসবাস করতো। তবে বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী না হলেও স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতো তারা।

স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে সোনিয়াকে-নাজমুলের সাথে আবারও বিবাহ দেয়। ভাড়া বাসায় বসবাস করাকালীন সময়ে অন্তস্বত্বা হয়ে পড়ে সোনিয়া। এতেই ক্ষিপ্ত হয় নাজমুল। গর্ভের ছয় মাসের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য চাপ শুরু করে সোনিয়াকে। কিন্তু সোনিয়া কোনো ভাবেই বাচ্চা নষ্ট করতে রাজি না। এনিয়ে নাজমুল সোনিয়াকে ব্যাপক মারপিট করে। এমনকি বাচ্চা নষ্ট করতে পেটেও লাথি মারে নাজমুল। এতে জ্ঞানহীন হয়ে পড়ে সোনিয়া। ওই অবস্থায় তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা।

কিন্তু ভাড়া বাসায় বিবাহের তিনদিন পরে নাজমুল আবারও সোনিয়াকে তালাকপত্র পাঠায়। এতে সোনিয়া যেনো আরও ভেঙ্গে পড়ে। তবে চিকিৎসা শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে ছাড়পত্র নিলেও তার আশ্রয় হয়নি নাজমুলের বাড়িতে। এমনকি যেতে পারেনি বাবার বাড়িতে। বর্তমানে সোনিয়ার জায়গা খালার বাড়িতে। সেখানে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে সোনিয়া। সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে এখন সোনিয়া।

তালা উপজেলা সদর থেকে ছয় কিলোমিটার দুরে হাজরাকাটি গ্রাম। এই গ্রামে বসবাস নাজমুল-সোনিয়ার। সোনিয়ার বাবা দিন মুজুর সাইদ গাজী, মাতা গৃহনী। আর নাজমুল নছিমন চালক ও বাবা মোকবুল হোসেন ব্যবসায়ী। কিন্তু নাজমুলের বাবার টাকার কাছে হার মেনে যাচ্ছে সোনিয়া।

স্বামী নাজমুল গাজী বলেন, প্রথম আমাদের বিয়ে হয়েছে, তালাকও হয়েছে। পরে তালার বাসায় আমি দেখা করতে যায়। আমি ওখানে বাসা ভাড়া করে থাকেনি। ও বাচ্চাও আমার নয়।

তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. রাজিব সরদার বলেন, ২৭ জুলাই রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সোনিয়া তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছিলো। সোনিয়া ৩০ সপ্তাহের অন্তস্বত্বা ছিলো এবং তার তলপেটে আঘাত ছিলো।

তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন