হোম অন্যান্যসারাদেশ তালাক দেওয়ার পর মাদকাসক্ত জামাতা কর্তৃক স্বাস্থ্যকর্মী ও তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট করার অভিযোগ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে তালাক দেওয়ার পর মাদকাসক্ত জামাতা কর্তৃক স্বাস্থ্যকর্মী এবং তার পরিবারের সদস্যদের ভাড়াটিয়া লোকজনের সহযোগিতায় মারপিট এবং খুন জখমের হুমকি ধামকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, শ্যামনগর উপজেলার আজিজুর রহমানের কন্যা উম্মে হারুন লাভলী।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেণ, আমি স্বাস্থ্যসহকারী হিসেবে সুনামের সাথে শ্যামনগর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কর্মরত আছি। আনুমানিক ১০ বছর পূর্বে আমার বড় কন্যা ফাহমিদার সাথে একই উপজেলার ইসমাইলপুর গ্রামের রশিদ মৌরীর পুত্র সাদ্দাম হোসেন এর সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের কিছুদিন পর আমার কন্যা বুঝতে পারে সাদ্দাম হোসেন একজন মাদকাসক্ত বেকার যুবক। নেশাগ্রস্থ হয়ে প্রায়ই আমার কন্যাকে মারপিটসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে থাকে। কিন্তু আমার কন্যা সাদ্দামের নির্যাতন সহ্য করেও তাকে নিয়ে সংসার করার চেষ্টা করছিল। দিন দিন নির্যাতনের মাত্রা বাড়াতে থাকে এবং নেশার টাকা জোগাড় করতে না পেরে টাকার জন্য কন্যাকে মারপিট করে গুরুতর জখম করে।

বার বার কন্যাকে ওই মাদকাসক্ত সাদ্দামকে তালাক দেওয়ার কথা বললেও কন্যা বলতো সে একদিন ভালো হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে সাদ্দামের ঔরসে আমার কন্যার গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এমনকি আমার মেঝ কন্যা, ভাই, বৃদ্ধা মাতাসহ আমাকেও মারপিট করে গুরুতর রক্ত্যাক্ত জখম করে। সাদ্দামের নির্মম অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত ০৮ এপ্রিল ২২ তারিখে আমার কন্যা ফাহমিদা খাতুন তাকে তালাক প্রদান করে।

তালাকের নোটিশ পেয়ে গত ০১ জুন ২২ তারিখে বাড়িতে কেউ না থাকায় বিকাল ৬টার দিকে মাদকাসক্ত সাদ্দামসহ কতিপয় মাদকাসক্ত যুবক তিনটি মটরসাইকেলে ধারালো অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করতে থাকে। আমি প্রাণ ভয়ে কোন রকমের বাড়ির পিছন দিয়ে বাইরে চলে আসলে বাড়ির মধ্যে থাকা একটি গরু (যার মূল্য ১লক্ষ টাকা) নিয়ে যায়। ঘরে থাকা ফ্রিজ, টিভি, কুকারসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ভেঙে গুড়িয়ে প্রায় ২লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।

এছাড়া চলে যাওয়ার সময় আমাকেসহ আমার দুইকন্যা, পুত্রসহ পরিবারের অন্যদের খুন জখমের হুমকি দিয়ে যায়। সে আমার কন্যাসহ আমাদের মারপিট করে দিশেহারা করে তুলেছে। সব সময় জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা। সাদ্দামের পিতা রশিদ মৌরি আমার কন্যার শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদগুলোও নিজের কাছে আটকে রেখেছে। চাইতে গেলে সেগুলো না দিয়ে তালবাহানা করে যাচ্ছে রশিদ মৌরি। উক্ত সনদপত্রগুলো খুবই প্রয়োজন। ওই মাদকাসক্ত সাদ্দামের কবল থেকে রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন