রাজনীতি ডেস্ক:
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে কারাদণ্ড দেয়ার রায়কে দলের পক্ষ থেকে ফরমায়েশি বলে দাবি করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার (৪ আগস্ট) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন দলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২ আগস্ট) বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এই রায় জনগণ মেনে নেবে না। জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। এই রায় অবৈধ ও সরকারের ক্ষোভের প্রতিফলন।’
এদিকে রায় ঘোষণার পর নয়াপল্টনে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান সরকারের আক্রোশের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রের পক্ষে, তারা আজ বন্দি। শেখ হাসিনার একটাই ভয় তারেক জিয়া কখন ছুটে আসে। আমাদের ওপর ২৯ জুলাই যে হামলা চালানো হয়েছে, রক্তপাত হয়েছে তার বদলা নেয়া হবে।’
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ রায় সরকার প্রধানের নির্দেশে হয়েছে। আলোর গতিতে এ মামলা চালিয়ে রায় দেয়া হয়েছে। এ রায় ফরমায়েশি। বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করতে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে এ রায় দেয়া হয়েছে, যা বেগম জিয়ার বেলাতেও হয়েছে।
বিএনপি এ রায় প্রত্যাখ্যান করছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, এক মাসের মধ্যে মামলার কার্যক্রম চালিয়ে রায় দেয়াই প্রমাণ করে জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসার প্রতিফলন ঘটেছে। তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে সাজার মাধ্যমে বিচার বিভাগকে দলীয়করণের আরও একটি নজির স্থাপন করা হলো।
এরআগে, বিকেলে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে যথাক্রমে ৯ এবং ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে উত্তাল হয়ে ওঠে নয়াপল্টন। রায়ের আগেই বিএনপির দলীয় কার্যালয়, ফকিরাপুল ও নাইটিঙ্গেল মোড়ে অবস্থান নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
রায়ের পর তাদের ‘মিথ্যা মামলা, মিথ্যা রায়; মানিনা মানবো না’সহ নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে নয়াপল্টন এলাকা।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।