খেলাধূলা ডেস্ক:
ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল বেশ আশা জাগানিয়া। ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টির অভিষেক সিরিজে রোহিত শর্মাদের রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন একাই। তবে এরপর আর কখনোই আলো কাড়তে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ধারাবাহিকতার অভাবে একসময় বাদ পড়েন জাতীয় দল থেকেই।
গত বছরের এশিয়া কাপে সর্বশেষ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন নাঈম। ওয়ানডেতে শেষবার খেলেছেন আরও একবছর আগে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে। ধারাবাহিকতার অভাবেই প্রতিবার বাদ পড়েছেন জাতীয় দলের রাডার থেকে। তবে চান্ডিকা হাথুরুসিংহের নতুন দলটা তাকে সুযোগ দিচ্ছে আরও একবার।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে মোহাম্মদ নাঈমকে দলে টেনেছে বাংলাদেশ। তরুণ এই ওপেনার জাতীয় দলে জায়গা পেলেন দুই বছর পর। তাকে জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন রনি তালুকদার। দলে ফিরেছেন আফিফ হোসেনও।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ওয়ানডে দলের ওপেনিং সেট আপ একদম প্রস্তুত। অধিনায়ক এবং অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গী উড়ন্ত ফর্মে থাকা লিটন দাস। রনি তালুকদারকেও দুয়েকটা সিরিজ নেড়েচেড়ে দেখেছে বিসিবি। জাতীয় দলের ক্যাম্পে অনুশীলন করছেন সৌম্য সরকারও। এর মধ্যে আবার নাঈমকেও ওয়ানডে দলে ডেকেছে বিসিবি।
মূলত তামিম ইকবালের ইনজুরিই মূল ভাবনার কারণ। পিঠের ইনজুরি নিয়ে ওয়ানডে অধিনায়কের ভোগান্তির শেষ নেই। অপারেশনে সেরে এলেও মাঝে মাঝেই ব্যথা বাড়ছে। এই কারণে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজেও খেলা হয়নি অভিজ্ঞ ওপেনারের। তাই বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে একজন ব্যাকআপ ওপেনার তৈরি রাখা জরুরী বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুযোগটা আগে পেলেন নাঈম।
ওয়ানডে দলে নাঈম অবশ্য হুট করে সুযোগ পাননি। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তরুণ এই তারকা। ৯১.৬৪ স্ট্রাইক রেটে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ৯৩২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। সে কারণেই হয়তো আর একবার সুযোগ দিয়ে দেখা হচ্ছে নাঈমকে।
ব্যাপারটা পরিষ্কার করলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও। শনিবার দল ঘোষণার পর নাইমের ব্যাপারে কথা বলেছেন তিনি। স্পষ্টই জানিয়েছেন, বাজিয়ে দেখার জন্যই নাঈমকে সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে দুই বছর পর ওয়ানডে দলে জায়গা করে নিতে নাঈমের ডিপিএল পারফরম্যান্স যথেষ্ট ছিল বলে মনে করেন তিনি।
নাঈমের প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগে সে দারুণ ফর্মে ছিল। এখানে আমরা ওপেনার দুজনের মধ্যে ভারসাম্য রাখছি। রনি টি-টোয়েন্টি খেলবে। আমাদের দেখার জন্য এই সিরিজই আছে। এজন্য আমরা নাঈমকে এ সিরিজে সুযোগ দিয়েছি।’
বিশ্বকাপের আগে আফগানিস্তান সিরিজ নাঈমের কাছে অনেক বড় সুযোগ। তামিম ইকবাল ফিট থাকলে হয়তো সুযোগ নাও মিলতে পারে এই ওপেনারের। তবে সুযোগ পেলে সেটা পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে তাকে। কে জানে, তাতে হয়তো মিলে যেতে পারে বিশ্বকাপের টিকিটও।
