আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
তাইওয়ান নিয়ে শিল্পোন্নত সাত দেশের সংগঠন জি৭-এর দেয়া যৌথ বিবৃতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে চীন। এক প্রতিক্রিয়ায় তাদের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সৃষ্ট উস্কানির বিষয়টি অগ্রাহ্য করছে জি৭। শুধু অসন্তোষ প্রকাশই নয়, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠক বাতিল করেছে বেইজিং।
চীনের হুঁশিয়ারি উপক্ষো করেই মঙ্গলবার (২ আগস্ট) তাইওয়ান সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। সফরকালে দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক ও পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন তিনি। পরদিন বুধবার (৩ আগস্ট) দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে তাইপে ত্যাগ করেন পেলোসি।
তার সফরকে কেন্দ্র করে চরম ক্ষুব্ধ চীন। এর মধ্যে জি৭-এর বিবৃতি তাতে ঘি ঢেলেছে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুর থেকে তাইওয়ানের চারপাশের ছয়টি এলাকায় ফের শুরু হয়েছে সামরিক মহড়া, যা চলবে আগামী রোববার পর্যন্ত।
মঙ্গলবার রাতে পেলোসির তাইওয়ানে অবতরণের পরই চরম প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে বেইজিং। ওইদিন রাতেই তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া চালায় চীনা সেনাবাহিনী। পরদিন বুধবারও (৩ আগস্ট) সামরিক মহড়া চালানো হয়। এর মধ্যেই বুধবার এক বিবৃতিতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাইওয়ান সংকট সমাধানের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান জি৭-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
জি৭-এর এক যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের তাইওয়ান সফরকে ব্যবহার করে তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধির কোনো কারণ চীনের নেই।’ জি৭-এর দেশগুলো হলো— কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
জি৭-এর ওই যৌথ বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (জি৭) ভিত্তিহীনভাবে চীনের যৌক্তিক ও বৈধ পদক্ষেপের সমালোচনা করছে।’ তিনি আরও বলেন, তাইওয়ানের বিষয়ে তারা যে বিবৃতি দিয়েছে সে বিষয়ে চীন অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং জানান, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির সঙ্গে কোম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠিত আসিয়ানের সম্মেলনের বাইরে যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল সেটি বাতিল করা হয়েছে।