হোম আন্তর্জাতিক তাইওয়ান এক না: ইউরোপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হলেও তাইওয়ান এক না বলে মন্তব্য করেছেন দ্বীপটিতে প্রথমবারের মতো সফর করা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা।

এ সময়ে ইউরোপের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্ক আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।

তাইওয়ান যখন ক্রমাগত চীনের চাপের মধ্যে রয়েছে, তখনই তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ক্ষুদ্র ভ্যাটিক্যান সিটি ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই তাইওয়ানের।

এমন এক সময় ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা এই সফর করেছেন, যখন বারংবার চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশে হানা দিচ্ছে। তাইপেকে নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করছে চীন। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগে হলেও গণতান্ত্রিক-শাসিত দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করতে চায় বেইজিং।

ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বৈঠকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনকে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ফ্রেঞ্চ সদস্য রাফায়েল গ্লুকসমান বলেন, আমরা এখানে এসেছি খুব সাধারণ, খুব স্পষ্ট বার্তা নিয়ে: আপনারা একা নন, ইউরোপ আপনাদের পাশে থাকবে।

তাইওয়ানে যাওয়া প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাফায়েল। তিনি আরও বলেন, আমাদের এ সফরকে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বিবেচনা করা উচিত। শক্তিশালী ইইউ-তাইওয়ান অংশীদারিত্ব নির্মাণে এরপর আমাদের দরকার সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক করা এবং একসঙ্গে উচ্চ-পর্যায়ের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া।

এদিকে তাইওয়ানের রাডারের পর্দায় ঝাঁকে ঝাঁকে চীনা যুদ্ধ বিমানের ভেসে উঠছে। দুই ভূখণ্ডের মধ্যে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। আর এভাবেই দ্বীপটিকে চাপে রাখছে বেইজিং।

তাইপেকে মনস্তাত্ত্বিক চাপে রাখতে হাতিয়ার হিসেবে নতুন কৌশল ব্যবহা করছে চীন।

এতে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যে কোনো একটি ভুলে হঠাৎ করেই মনস্তাত্ত্বিক লড়াই সত্যিকারের সর্বাত্মক যুদ্ধে পরিণত হতে পারে। ১৯৪৯ সালের গৃহযুদ্ধের পর থেকে চীনা আগ্রাসনের ভয়ে আছে স্বশাসিত দ্বীপটি।

চীন থেকে আসা ভয়-আতঙ্কের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে দুই কোটি ৩০ লাখ লোকের তাইওয়ান। আকস্মিকভাবে দ্বীপটির বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চল (এডিআইজেড) দিয়ে চীনা যুদ্ধবিমানের উড্ডয়ন বেড়ে গেছে। এতে অঞ্চলটি আন্তর্জাতিক উত্তেজনা কেন্দ্রভূমি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন