আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন স্পিকারের সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের জেরে তৃতীয় দিনের মতো দেশটি ঘিরে ব্যাপক সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, সোমবার (১০ এপ্রিল) তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাইওয়ান ভূখণ্ডের আশপাশে ৭০টি সামরিক বিমান ও ১১ জাহাজ শনাক্ত করেছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড তাইওয়ানের কাছে সামরিক মহড়া অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ ১১টি জাহাজ এবং যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমানসহ ৫৯টি বিমান শনাক্ত করেছে।
চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে গত সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে মার্কিন স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠকের প্রতিবাদে স্বায়ত্বশাসিত দ্বীপটির চারপাশে শনিবার (৮ এপ্রিল) তিন দিনব্যাপী সামরিক মহড়া শুরু করে চীনা সরকার।
বৈঠকের আগেই বেইজিং নানা হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। বৈঠকের পরপরই তিন দিনব্যাপী মহড়া শুরু করে চীন। এ মহড়ার নাম দেয়া হয় ‘জয়েন্ট সোর্ড’।
বেইজিংয়ের মহড়ার জেরে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে তাইপে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছে, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গভীরভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। বিমান ও নৌবাহিনী এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে চীনকে সংযত আচরণের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (৮ এপ্রিল) ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বেইজিংয়ের পদক্ষেপগুলি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। অঞ্চলটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি পূরণে পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে আমাদের।
এর আগে গত বছরের আগস্টে বেইজিংয়ের হুমকি উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফর করেন সাবেক মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। প্রতিবাদে তাইওয়ান প্রণালির আশপাশে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় চীনা সামরিক বাহিনী। এতে তাইওয়ানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয় চীনের।