আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের বৈঠকে ক্ষুব্ধ চীন দ্বীপ দেশটির চারপাশ ঘিরে তিন দিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর চীন ছাড়ার পরপরই এই মহড়ার ঘোষণা দেয় দেশটি। এর প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান বলেছে, তারা শান্তভাবে এর জবাব দেবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স আজ শনিবার (৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড আজ শনিবার (৮ এপ্রিল) এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানায়, তাইওয়ান প্রণালীতে ৮-১০ এপ্রিল যুদ্ধ প্রস্তুতির টহল বা মহড়া চলবে। কমান্ড মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল শি ইয়ি বলেন, ইউনাইটেড শার্প সোর্ড তাইওয়ানের উত্তর-দক্ষিণে এবং পূর্বে সমুদ্র ও আকাশপথ এ সামরিক মহড়ায় সম্পৃক্ত থাকবে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফেরার পথে মার্কিন রাজনীতিবিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তখন চীন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিল, এ ধরনের বৈঠকের পরিণাম হবে ভয়াবহ।
বৈঠক হওয়ার আগেই বেইজিং মোক্ষম জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। চীনের ‘শানডং’বিমানবাহী রণতরী গত বুধবার (৫ এপ্রিল) বৈঠকের নির্ধারিত সময়ের আগেই তাইওয়ানের দক্ষিণ-পূর্ব জলসীমার মধ্য দিয়ে যাত্রা করতে দেখা যায়।
অপরদিকে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পিএলএর নতুন মহড়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। তবে তাইওয়ান শান্তভাবে এর জবাব দেবে।
এরই মধ্যে আজ শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় তিনটি জাহাজ ও ১৩টি বিমান দেখা গেছে। শনাক্ত করা বিমানগুলোর মধ্যে ৪টি তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে ও তাইওয়ানের দক্ষিণ-পূর্ব এডিআইজেড অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।
এদিকে, হাউজ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককলের নেতৃত্বে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের একটি প্রতিনিধি দল তাইওয়ানে রয়েছেন। আজ শনিবার তারা প্রেসিডেন্ট সাইয়ের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইঙ-ওয়েনের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির বৈঠকের পর এ ঘোষণা দিলো শি জিনপিং প্রশাসন।