হোম অর্থ ও বাণিজ্য তফসিলি ব্যাংকের আমানত বীমার প্রিমিয়ামের তথ্য নিয়ে নতুন নির্দেশনা

তফসিলি ব্যাংকের আমানত বীমার প্রিমিয়ামের তথ্য নিয়ে নতুন নির্দেশনা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 92 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

তফসিলি ব্যাংকগুলোকে বছরে দুইবার (ষাণ্মাসিক) আমানত বীমার প্রিমিয়ামের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে হবে। তবে কোনো ব্যাংক এ তথ্য পাঠাতে বিলম্ব বা কোন ধরনের ভুল করলে জরিমানা গুনতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স ডিপার্টমেন্টে (ডিআইডি) এক মাস্টার সার্কুলারে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশের ক্ষুদ্র আমানতদারীদের আমানতের সুরক্ষা ও সামগ্রিক আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ১৯৮৪ সাল থেকে আমানত বীমা পদ্ধতি তথা ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স সিস্টেমস চালু আছে। বর্তমানে ‘ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০’ অনুযায়ী দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক আবশ্যিকভাবে আমানত বীমা ট্রাস্ট তহবিলের সাথে বীমা করা আছে।

এই আইনের ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী সব তফসিলি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকনির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে আলোচ্য তহবিলে প্রিমিয়াম জমা দেয়। প্রিমিয়াম হিসাবায়নের লক্ষ্যে বর্তমানে প্রতি ষাণ্মাসিকে বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক হতে নির্দিষ্ট ছক অনুযায়ী আমানত বীমা প্রিমিয়াম নির্ধারণী তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

সংগৃহীত তথ্য প্রয়োজনীয় যাচাইবাছাই করে নির্ধারিত প্রিমিয়াম হার প্রয়োগ করে ব্যাংকগুলোর জন্য আবশ্যিকভাবে প্রদেয় প্রিমিয়ামের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। ফলে ব্যাংকগুলোর পাঠানো আমানত বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণী তথ্যগুলোর সুনির্দিষ্টতা নিশ্চিত করার জন্য ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স ডিপার্টমেন্ট থেকে আগে জারি করা এ সংক্রান্ত সার্কুলার লেটারগুলো একীভূত করে এই মাস্টার সার্কুলারটি জারি করা হয়েছে।

মাস্টার সার্কুলারে আমানত বীমা প্রিমিয়াম নির্ধারণী তথ্য দাখিল সম্পর্কে বলা হয়েছে, সব তফসিলি ব্যাংককে নির্দেশনা অনুযায়ী তথ্য প্রস্তুত করতে হবে। প্রস্তুত করা সব তথ্যের সফট কপি এবং হার্ডকপি দাখিল করতে হবে।

তথ্য দাখিলের সময়সীমা

তফসিলি ব্যাংকগুলোকে জানুয়ারি থেকে জুন ও জুলাই থেকে ডিসেম্বর ষাণ্মাসিকের শেষ কর্মদিবসের হিসাবের স্থিতির ভিত্তিতে যথাক্রমে ৩১ জুলাই এবং ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট আগের বছরের তথ্য পাঠাতে হবে।

ভুল বা বিলম্বে তথ্য দাখিলের জন্য জরিমানা

ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য সম্বলিত বিবরণী দাখিল করলে ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১’ এর ১০৯(২) ধারার বিধানবলে অর্থদণ্ড ও তদসংশ্লিষ্ট শাস্তি আরোপ করা হবে।

বিলম্বে তথ্য প্রদানের জন্য জরিমানা

নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১’ এর ১০৯(৭) ধারার বিধান অনুয়ায়ী নির্ধারিত হারে জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হবে।

প্রিমিয়াম পরিশোধ

অত্র বিভাগ হতে প্রিমিয়াম প্রদানের জন্য পত্র জারির ১০ (দশ) দিনের মধ্যে সব ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল অফিসের ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট বিভাগে সংরক্ষিত আমানত বীমা ট্রাস্ট তহবিল হিসাবে নির্ধারিত প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। প্রিমিয়াম পরিশোধের সবশেষ দিন সরকারি ছুটির দিন হলে পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসকে সবশেষ দিন হিসেবে গণ্য করা হবে।

প্রিমিয়াম দিতে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ

বীমাকৃত কোনো ব্যাংক প্রিমিয়াম দিতে ব্যর্থ হলে ‘ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০’ এর ৫(৩) নং ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এর চলতি হিসাব থেকে সমপরিমাণ অর্থ প্রিমিয়াম বাবদ কর্তন করে আমানত বীমা ট্রাস্ট তহবিলে জমা করা হবে। এ ক্ষেত্রে বিলম্বিত সময়ের জন্য প্রিমিয়ামের উপর ব্যাংক রেটে দণ্ডসুদ আরোপ করা হবে।

কার্যকারিতা

এ নির্দেশনা জানুয়ারি-জুন, ২০২৪ ষাণ্মাসিকের জন্য ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ভিত্তিক তথ্য দাখিলের সময় হতে কার্যকর হবে। এই বিভাগের ২০১১, ২০১৩, ২০২০, ২০২১ সালের সংশ্লিষ্ট সার্কুলার রহিত করা হয়েছে। তথ্য দাখিল ও প্রিমিয়াম প্রদান ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে আগে জারি করা ২০১২, ২০১৪ সালের সার্কুলার কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন