নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে তথ্য গোপন করে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুবরণকারী যুবকের নাম হারুন আর রশীদ। সে কালিগঞ্জ উপজেলার ১০নং ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের কাঁমারগাতী গ্রামের সাবেদ সরদারের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, গত কয়েক দিন আগে অসুস্থ অবস্থায় হারুন ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে আসে। তার জ্বর কাশিকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হলে শুক্রবার গ্রাম্য চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৬ টায় ১০ মিনিটে মৃত্যু হয় তার।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই যুবকের কাছে বারবার তার সাম্প্রতিক ইতিহাস জানার চেষ্টা করলেও সে ও তার আত্মীয় স্বজন মিথ্যা বলেছে। পরে মারা যাওয়ার পর তার আত্মীয় স্বজনরা বলছে সে সম্প্রতি ঢাকা থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরে।
তথ্য গোপন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাকে আমরা করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে পারতাম। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসক নার্সদের মধ্যেও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তার নিকটাত্মীয়দের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। সিভিল সার্জন আরো জানান, এই তথ্য গোপন করায় বিপদের কারণ হতে পারে । ওই রুগির সংস্পর্শে যারা ছিলো তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রোটকল অনুসরণ করে লাশ দাফন করতে বলা হয়েছে । এবং ওই রোগীর সংস্পর্শে যারা ছিলো তাদেরকে লক ডাউনে রাখতে বলা হয়েছে।