রাজনীতি ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম ঢাকা-১৭ আসন থেকে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) যমুনা গ্রুপের ডিজিএম (প্রশাসন) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম রিটার্নিং কর্মকর্তা সাবিরুল ইসলামের কাছে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠি জমা দেন।
তিনি বলেন, সালমা ইসলাম ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
ঢাকা-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত। আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুর পর এই আসনে উপনির্বাচনে নির্বাচিত হন তিনি।
এদিকে ঢাকা-১৭ আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। তার পক্ষে পার্টির দফতর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান নিয়ে আসেন আবেদন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী রোববার (১৭ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভিড় করেন প্রার্থীরা। দলীয় সিদ্ধান্তের পাশাপাশি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েও প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন অনেকে।
এদিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে জাকের পার্টি। ঢাকা রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে একে একে আসতে থাকেন ঢাকার বিভিন্ন আসনের জাকের পার্টির প্রার্থীরা। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে ‘দলীয় প্রধানের হুকুম’-উল্লেখ করেন তারা। সবগুলো আসনের ক্ষেত্রে একই আদেশ উল্লেখ করে দলটির সিনিয়র নেতারা জানান, শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকতে পারেন অল্প কিছু প্রার্থী। ২১৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল দলটি।
শুধু জাকের পার্টিরই নন, ঢাকার ২০টি সংসদীয় আসন থেকে এরইমধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন ইসলামী ঐক্যজোট ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের কয়েকজন প্রার্থীও।
এদিকে নানা নাটকীয়তা আর দফায় দফায় বৈঠকের পর অবশেষে আসন সমঝোতায় পৌঁছালো আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। এরশাদের দলকে রংপুর-৩, কিশোরগঞ্জ-৩, পটুয়াখালী-১সহ ২৬টি আসন ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। আর শরিকদের ৬টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সূত্র অনুযায়ী ছাড় দেয়া আসনগুলো হলো; ঠাকুরগাঁও-৩, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ; কিশোরগঞ্জ-৩, মুজিবুল হক চুন্নু; রংপুর-১, হোসেন মকবুল শাহরিয়ার; রংপুর-৩, জি এম কাদের; নীলফামারী-৪, আহসান আদেলুর রহমান; কুড়িগ্রাম-১, মুস্তাফিজ; কুড়িগ্রাম-২, পনির উদ্দিন আহমেদ; নারায়ণগঞ্জ-৫, সেলিম ওসমান; গাইবান্ধা-১, শামীম হায়দার পাটোয়ারী; গাইবান্ধা-২, মো. আব্দুর রশীদ সরকার; সিলেট-৩, মো. আতিকুর রহমান; নীলফামারী-৩, রানা মোহাম্মদ সোহেল; বগুড়া-৩, নুরুল ইসলাম তালুকদার; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, আব্দুল হামিদ; চট্টগ্রাম-৮, সোলেমান আলম শেঠ; বগুড়া-২, শরীফুল ইসলাম জিন্নাহ; সাতক্ষীরা-২, মো. আশরাফুজ্জামান; ফেনী-৩, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী; চট্টগ্রাম-৫, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ; পটুয়াখালী-১, রুহুল আমিন হাওলাদার; ময়মনসিংহ-৫, সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ মুক্তি; ময়মনসিংহ-৮, ফখরুল ইমাম; পিরোজপুর-৩, মো. মাশরেকুল আজম রবি; হবিগঞ্জ-১, মো. আব্দুল মুনিম চৌধুরী; মানিকগঞ্জ-১, জহিরুল আলম রুবেল; বরিশাল-৩, গোলাম কিবরিয়া টিপু; রাজশাহী-২, ফজলে হোসেন বাদশা; সাতক্ষীরা-১, মোস্তফা লুৎফুল্লাহ আহসান; বরিশাল-২, রাশেদ খান মেনন; কুষ্টিয়া-২, হাসানুল হক ইনু; লক্ষ্মীপুর-৪, মোশাররফ হোসেন; বগুড়া-৪, রেজাউল করিম তানসেন এবং পিরোজপুর-২, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
তফসিল অনুযায়ী- ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক নিয়েই প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবনে। আর ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ।