জাতীয় ডেস্ক:
ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় বিশেষ মশক নিধন অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এরই অংশ হিসেবে রোববার (৬ আগস্ট) আটটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পান কর্মকর্তারা। এতে সবমিলে ৯ মামলায় ৫ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। জুলাই মাসে শুরু হওয়া এই অভিযান পুরো আগস্ট মাসজুড়ে চলবে।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন বাড্ডা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা ও নির্মানাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪টি মামলায় মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে: জেনা: মুহ. আমিরুল ইসলাম।
অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন মিরপুর পাইকপাড়া ও শাহ আলীবাগ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ৭০টি নির্মানাধীন ভবন, বাসাবাড়ি পরিদর্শন করা হয়েছে। ২টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় বাড়ির মালিকদের ২ টি মামলায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন মিরপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৫২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-১ ও ৭ এর আওতাধীন উত্তরা সেক্টর-৩ এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন এই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক কার্টুন বই বিতরণ করেন।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে একটি মামলায় ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াজ উদ্দিন রোড এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগে: জেনা: এ.কে.এম শফিকুর রহমান এবং উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লে: কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।