বাণিজ্য ডেস্ক :
ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
শনিবার (৬ আগস্ট) সংস্থাটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাগফুর রহমান ও সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।
অভিযান পরিচালনাকালে মতিঝিল থানাধীন করিম অ্যান্ড সন্স ফিলিং স্টেশনের ২ টি ডিসপেনসিং ইউনিট অকটেন পরিমাপক যন্ত্রে কারচুপির প্রমাণ পাওয়া যায় এবং ১ টি ডিসপেনসিং ইউনিটে প্রতি ৫ লিটার অকটেনে ৫৪০ মিলিলিটার ও অপরটিতে ৪৯০ মিলিলিটার অকটেন কম পাওয়া যায়।
অকটেন ডিসপেনসিং ইউনিটে (অকটেন পরিমাপক যন্ত্রে) কারচুপি, ওজনে কম দেয়া এবং বর্ধিত দামে অকটেন, ডিজেল বিক্রির উদ্দেশে গতকাল রাত ১২টার আগেই ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখা ইত্যাদি অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ডিসপেনসিং ইউনিট ২ টি থেকে অকটেন বিক্রি জনস্বার্থে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
তবে স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারপূর্বক জরিমানা এবং সবার উপস্থিতিতে ডিসপেনসিং ইউনিট ২ টি কারেকশন করাসহ ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন মর্মে অঙ্গীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে রমনা ফিলিং স্টেশনে তদারকি করে মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া গেলেও বিস্ফোরক পরিদফতর, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হয়। ফিলিং স্টেশনটিতে ২৭ হাজার ৬২৩ লিটার অকটেন বর্তমান মজুত পাওয়া গেলেও বিনা নোটিশে গতকাল সন্ধ্যা ৬.০০ থেকে ফিলিং স্টেশনটি বন্ধ রাখার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির প্রবেশ দ্বারে ‘ভিআইপি চলাচলে নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িকভাবে তেল বিক্রয় বন্ধ’ লেখা টানানোর প্রমাণ পাওয়া যায়।
সত্যি সত্যি কোনো ভিআইপি চলাচল করেছেন কি না এবং সরকারের কোনো সংস্থা প্রতিষ্ঠানটিকে অনুরুপ অনুরোধ/ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিষয়গুলোর ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯ টায় অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে